Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ইয়াসে ছাগল ও মাছ মরেছে, ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন!

কোলন্দার তাপস কর ইয়াস ঝড়ের আতঙ্কে ছাগল মারা যাওয়ায় জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। বিলকুয়ার রামপদ জানা মাছ মরার জন্য ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন।

ইয়াসে ছাগল ও মাছ মরেছে, ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন!
দুয়ারে ত্রাণে আবেদন
Follow Us:
| Updated on: Jun 08, 2021 | 9:39 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: ইয়াস (Yaas) ঘূর্ণিঝড়ে “আমার ছাগল মরে গেছে” কিংবা “পুকুরের মাছ মরে গিয়েছে”, এমনই সব দাবি করে “দুয়ারে ত্রাণ” এর জন্য ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের আবেদন করা হয়েছে! আর এইসব আবেদন বিবেচনা করার আগেই মাথায় হাত সরকারি আধিকারিকদের। কোনও কোনও আবেদনপত্র আবার ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এখন ত্রাণের আবেদনপত্র গ্রহণ করতে গিয়ে আতান্তরে পড়েছেন সরকারি আধিকারিকরা।

ইয়াস (Yaas) ঝড়ে প্রভাবিত মানুষদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য গত ৩ জুন থেকে ড্রপবক্সে আবেদন জমা নেওয়া শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসনের। গত ৪ জুন এমনই একটি আবেদন জমা পড়েছে সবং ব্লকের ৪ নম্বর দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আবেদনকারীর নাম তাপস কর। বাড়ি সবংয়ের কোলন্দা গ্রামে। সবংয়ের বিডিও বা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে উদ্ধৃত করে লেখা সেই আবেদনপত্রে তিনি জানিয়েছেন, “গত ইংরেজি ২৬.০৫.২১ তারিখে ইয়াস ঝড়ের কারণে আমার ছাগল আতঙ্কে মারা গেছে। যদি আমি ছাগলের ক্ষতিপূরণ পাই, তাহলে আপনার কাছে বাধিত থাকব।”

প্রশাসন সূত্রে আরও একটি আবেদনপত্রের কথা জানা গিয়েছে, যেখানে আবেদনকারী তাঁর পুকুরে মাছ মরে যাওয়ার জন্য ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন! সবংয়ের বিলকুয়ার রামপদ জানা ওই আবেদন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ধরনের বহু আবেদনপত্রের কথা স্বীকার করেছেন সবংয়ের বিডিও তুহিনশুভ্র মহান্তি। তিনি বলেন, “নানা রকমের আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখার পরই ক্ষতিপূরণ ঠিক করা হবে।”

অন্যদিকে, সবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ আবু কালাম বক্স বলেন, “কোলন্দার তাপস কর ইয়াস ঝড়ের আতঙ্কে ছাগল মারা যাওয়ায় জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। বিলকুয়ার রামপদ জানা মাছ মরার জন্য ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। আসলে গ্রামের সাধারণ মানুষ। ৩ এর পর কটা শূন্য দিলে কত টাকা হয় তা বুঝতে পারেননি। বা অন্য কেউ হয়ত আবেদনপত্রটি লিখে দিয়েছে। তবে যে যাই আবেদন করুন। আমরা বলেছি, বিডিও তাঁর লোকজন দিয়ে তদন্ত করে দেখার পর ক্ষতিগ্রস্তদের সঠিক তালিকা তৈরি করুন। ভুয়ো নাম যেন না থাকে।”

আরও পড়ুন: বাড়ি বসে মাইনে নিতে ‘লজ্জা’, করোনা আবহে অ্যাম্বুল্যান্স দান শিক্ষিকার 

এ নিয়ে যোগাযোগ করা হয়, “আতঙ্কে ছাগল মারা যাওয়া”র আবেদনকারী তাপস করের সঙ্গে। তাঁর অবশ্য সাফ বক্তব্য, “আমার ঘর বাড়ির তেমন কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গোয়ালের বাইরে ছাগলটি বাঁধা ছিল। ঝড়ের সময় ভয়ে মারা গেছে। সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে শুনে বিডিও’র কাছে আবেদনও করেছি।”