AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাংলার দল একমাত্র বিজেপিই! কেন, তার ব্যাখ্যা দিলেন মোদী

তৃণমূলের নেতাদের দাবি, হিন্দি বলয় থেকে নেতা এনে বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে আত্মস্থ করা যায় না। এসব করে বাঙালি ভোটারকেও প্রভাবিত করা যায় না।

বাংলার দল একমাত্র বিজেপিই! কেন, তার ব্যাখ্যা দিলেন মোদী
খড়গপুরে নরেন্দ্র মোদী।
| Updated on: Mar 20, 2021 | 2:26 PM
Share

খড়গপুর: বিজেপিকে ঘা দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee) ও তাঁর নেতারা যখন বহিরাগত অস্ত্রে শান দিয়ে চলেছেন, বিজেপি নেতৃত্বেরও তখন জোরাল দাবি, তাদের প্রাণশক্তি বাংলার মাটিতেই লুকিয়ে। শনিবার বাংলায় ভোট প্রচারে এসে আরও একবার বিজেপির বাঙালি যোগ দিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ রাজ্যে কেউ যদি প্রকৃত অর্থে বাংলা দলের দাবিদার হয়, তা যে একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টি, সে কথাও শোনালেন নমো।

নরেন্দ্র মোদীর কথায়, “বিজেপি জনসঙ্ঘের হাত ধরে উঠে আসা দল। জনসঙ্ঘের জন্মদাতার নাম শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। উনি এ বাংলারই সুপুত্র ছিলেন। সে কারণে যদি প্রকৃত অর্থেই এখানে কোনও বাংলার দল থাকে তা হলে তা এক এবং একমাত্র বিজেপি। বিজেপির ডিএনএতে আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আচার, বিচার, ব্যবহার, সংস্কার রয়েছে। এই সংস্কারকে নিয়েই আমরা বাংলার প্রতিটি ক্ষেত্রকে উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে চাই। আমাদের লক্ষ্য শুধু বাংলায় পদ্ম ফোটানো নয়, বাংলার মানুষের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করাও।”

আরও পড়ুন: অন্য রাজ্যে উন্নয়নের সিঙ্গল উইনডো, বাংলায় ভাইপো উইনডো: মোদী

তখনও সে অর্থে বাংলায় ভোটের দামামা বাজেনি। বিজেপি ঘোষণা করেছিল, পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থাকবেন এ রাজ্যে ভোটের দায়িত্বে। সেবারই তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, সংগঠন নড়বড়ে ওদের। তাই ‘বহিরাগত’ দিয়ে ভোট করাতে চাইছে বিজেপি। এর পর যত দিন এগিয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে নেতা-মন্ত্রী এনে বাংলার মাটি শক্ত করার প্রক্রিয়ায় গতি বেড়েছে পদ্মশিবিরের। রোজই কেউ না কেউ এসেছেন। এখন তো প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়মিত আসছেন রাজ্যে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের যাতায়াত যত বাড়ছে, তৃণমূলও প্রতিবাদের ধার বাড়াচ্ছে বহিরাগত ইস্যুতে।

তৃণমূল নেতাদের দাবি, হিন্দি বলয় থেকে নেতা এনে বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে আত্মস্থ করা যায় না। এসব করে বাঙালি ভোটারকেও প্রভাবিত করা যায় না। মোদীর বাংলা উচ্চারণ নিয়েও নানা মন্তব্য শোনা যায় তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে। সে সব গোল দিতেই এদিন আরও একবার বাঙালি আবেগকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা দেখা গেল মোদীর বক্তব্যে। খড়গপুরে দাঁড়িয়ে বুঝিয়ে গেলেন, বাংলা ও ‘বাংলার বাঘ’-এর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক কতটা সম্পৃক্ত।