Salboni Murder: নদীর পাড় থেকে অন্ধ যুবকের থেঁতলানো দেহ উদ্ধার

Paschim Medinipur: থেঁতলানো অবস্থায় মৃতদেহটিকে দেখতে পান এলাকার যুবকরা।

Salboni Murder: নদীর পাড় থেকে অন্ধ যুবকের থেঁতলানো দেহ উদ্ধার
থেঁতলানো মৃতদেহ উদ্ধার পুলিশ (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2021 | 3:20 PM

শালবনী: এক মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অন্ধ ছেলেটির। আর এতেই শুরু সমস্যার। মারধর করে থেঁতলে খুন করা হল যুবককে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানার অন্তর্গত শিরশি গ্রাম। আজ সকালে স্থানীয় পারাং নদীর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় মৃতদেহটি। থেঁতলানো অবস্থায় মৃতদেহটিকে দেখতে পান এলাকার যুবকরা। এরপর খবর দেওয়া হয় পিড়াকাটা পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশ এসে মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এদিকে, মৃত ওই যুবকের কাকা অন্ধ এক যুবককে থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠল। মৃত যুবকের কাকা মঙ্গল হেমব্রম জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস আগে গ্রামেরই এক মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ওই অন্ধ যুবকের। সেই সময় তাকে মারধরও করা হয়েছিল। সেই পুরনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন পরিবারের সদস্যরা।

এক ব্যক্তি বলেন, “প্রতিদিনই খাওয়া-দাওয়া করে পুরানো বাড়িতে ঘুমোতে যায় ওই যুবক। গতকালও রাত আটটা নাগাদ খেয়ে চলে গিয়েছিল পুরানো বাড়িতে ঘুমাতে। এরপরই আজ সকালে খবর পাই মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এলাকার এক মহিলার সঙ্গে ওর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির পরিবারের লোকজন যখন জানতে পেরেছিল তখন ছেলেটিকে সেই সময় খুব মারধর করে। আমাদের মনে হচ্ছে মেয়ের বাড়ির লোকজন মারধর করেছে। ওরাই মেরে খুন করে নদীর ধারে ফেলে রেখে চলে গিয়েছে।”

ঘটনাতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্তে শালবনি থানার পুলিশ।

প্রসঙ্গত, জেলায় আরও একটি খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। স্ত্রীর হাতে খুন হতে হল স্বামীকে। শুধু তাই নয় খুনের পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠছে। পরে স্থানীয়দের তৎপরতায় মৃতদেহ উদ্ধার করে ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ।

ঘটনাটি পশ্চিম মদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা টাউন থানার ক্ষীরপাই পৌর এলাকার। জানা গিয়েছে, সেখানেই থাকতেন অভিযুক্ত ওই গৃহবধূ। গতকাল রাতে হঠাৎ চিৎকার করতে থাকেন তিনি। বলতে থাকেন তাঁর স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

এরপর তাঁর চিৎকার শুনে সেখানে ছুটে আসেন এলাকাবাসী। বাড়িতে পৌঁছে তাঁরা দেখেন ওই মহিলার স্বামী  মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাথরুমে। রুপালির কথামতো স্থানীয়রা মৃতদেহ সৎকারের আয়োজন করেন। দেহ সৎকার করতে যাওয়ার সময় মৃতদেহের গলায় দড়ির চিহ্ন দেখেন অনেকেই। সেই ক্ষতচিহ্ন দেখেই সন্দেহ হয় তাঁদের। এরপরই তাঁরা পুলিশে খবর দেয়।

এদিকে, মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি ওই গৃহবধূর বিবাহবহির্ভূত একাধিক সম্পর্ক ছিল। তার জেরেই নিজের স্বামীকে খুন করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বাড়িতেই আটক করা হয় রুপালি ঘোষকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত সত্য সামনে আসবে বলে দাবি পুলিশের । ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রুপালির সাথে আর কারা জড়িত আছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: Arrested Two: প্রাক্তন শিক্ষককে মেরে মাথা ফাটানোর অভিযোগ, গ্রেফতার দুই