কলাইকুন্ডা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) হাতে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দিয়েই কলাইকুন্ডা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইয়াসের জেরে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রাথমিক যে রিপোর্ট রাজ্যের হাতে এসে পৌঁছেছে তা-ই প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন মমতা। সে সময় যেটুকু কথা হয়েছে ওই অবধিই, এরপরই দিঘার উদ্দেশে হেলিপ্যাড থেকে উড়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার।
ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা নিয়ে শুক্রবার কলাইকুন্ডা বিমানঘাঁটিতে বৈঠক করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে আমন্ত্রিতদের যে তালিকা সামনে আসে, তাতে নাম দেখা যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সূত্রের খবর, প্রথম দু’টি নাম নিয়ে কোনও আপত্তি না থাকলেও, শুভেন্দুর বৈঠকে হাজিরায় বিরক্ত হন মমতা এরপরই পর্যালোচনা বৈঠকে না যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মমতা বলে সূত্রের খবর।
শুক্রবার সাগরে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে গিয়েই কলাইকুন্ডার রিভিউ মিটিংয়ে না যোগ দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ১৫ মিনিটের জন্য তিনি কলাইকুন্ডা যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তুলে দেবেন। তবে কোনও রিভিউ মিটিংয়ে তিনি থাকবেন না। তেমনটাই হল।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী জামিন পেলেও আজ বাড়ি ফিরছেন না মদন, কেন এই সিদ্ধান্ত জানালেন ছেলে
বেলা ২টোর কিছু পরেই কলাইকুন্ডায় নামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টার। মমতাও পৌঁছন সেখানে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি তাঁর হাতে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তুলে দেন। সামান্য কিছু সময় কথা বলেন। এরপরই সেখান থেকে বেরিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চলতে থাকে পর্যালোচনা বৈঠক। ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখ।