AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR in Bengal: ২০০২-র তালিকায় নাম নেই বাবা-মায়ের, ছেলের মৃত্যুতে SIR আতঙ্কের অভিযোগ

Paschim Medinipur SIR: মৃতের পরিবারের দাবি, এসআইআর আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবলুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের বোন মনু টুডু বলেন, "২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবা-মায়ের নাম নেই। এই নিয়ে দাদা টেনশনে ছিল। শুক্রবারও আমি বাপের বাড়ি এসেছিলাম। তখনও ভাল ছিল। গতকাল রাতে ঘুমিয়েছিল। সকালে মা ডাকতে গিয়ে দেখে দাদা মারা গিয়েছে। টেনশনে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।"

SIR in Bengal: ২০০২-র তালিকায় নাম নেই বাবা-মায়ের, ছেলের মৃত্যুতে SIR আতঙ্কের অভিযোগ
কী বলছে মৃতের পরিবার?Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2025 | 6:03 PM
Share

পিংলা: এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে এসআইআর আতঙ্কের অভিযোগ উঠল। মৃতের নাম বাবলু হেমব্রম। ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরিবারের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবা-মায়ের নাম না থাকায় আতঙ্কে ছিলেন বাবলু। বছর একচল্লিশের এই ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল। পাল্টা রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির।

বাবলু হেমব্রমের বাড়ি পিংলা বিধানসভার খড়্গপুর লোকাল থানার দক্ষিণ ঢেকিয়া এলাকায়। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর বাবা-মায়ের নাম নেই। পরিবারের দাবি, বাবা-মায়ের নাম নেই জানতে পেরে গত কয়েকদিন ধরেই অস্বাভাবিক মানসিক চাপে ভুগছিলেন বাবলু। এনুমারেশন ফর্ম পেলেও আতঙ্কিত ছিলেন। রাতে ঘুমোতে পারতেন না। গতকাল রাতে খাওয়া দাওয়ার পর ঘুমোতে যান বাবলু। এদিন সকালে ডাকাডাকি করলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে স্থানীয় এক চিকিৎসক এসে জানান, মৃত্যু হয়েছে বাবলুর। খবর পেয়ে মৃতের বাড়িতে আসেন পিংলার তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি।

মৃতের পরিবারের দাবি, এসআইআর আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবলুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের বোন মনু টুডু বলেন, “২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবা-মায়ের নাম নেই। এই নিয়ে দাদা টেনশনে ছিল। শুক্রবারও আমি বাপের বাড়ি এসেছিলাম। তখনও ভাল ছিল। গতকাল রাতে ঘুমিয়েছিল। সকালে মা ডাকতে গিয়ে দেখে দাদা মারা গিয়েছে। টেনশনে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।”

বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, “বিজেপি নেতারা বলছেন, যাঁদের নাম তালিকায় থাকবে না, তাঁদের দেশ ছাড়া করা হবে। এই নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত ছিলেন বাবলু। ২০০২ সালের বহু আগে থেকে উনি এখানকার বাসিন্দা। নির্বাচন কমিশন এই মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে না। কেন না, ২০০২ সালের ১৫ বছর আগে থেকে বাস করা ব্যক্তির নাম ২০০২ সালের তালিকায় না থাকলে তার দায় কমিশনের।”

বাবলুর মৃত্যু নিয়ে পাল্টা তৃণমূলকে নিশানা করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, “কী কারণে মারা গিয়েছেন, জানি না। তবে ওখানকার বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি দাবি করছেন, এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু হয়েছে। যদি এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু হয়, তার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেতাদের। এসআইআর নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন তাঁরা। মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। মানুষকে প্রাণে মারার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।”