Paschim Medinipur: ড্রাফ মাফিয়াকে ধরিয়ে দিতেই বিপাকে খড়্গপুরের সমাজকর্মী, রাতেই আক্রোশ!

Paschim Medinipur: শহর জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে ড্রাগসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন খড়গপুর পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের গোলখুলি এলাকার বাসিন্দা রুকিয়া বিবি ওরফে লক্ষ্মী। আর সেই লক্ষ্মী যখন জোর কদমে ড্রাগসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁর বাড়ির বাইরে রাখা একটি বড় গাড়িকে কে বা কারা  রাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

Paschim Medinipur: ড্রাফ মাফিয়াকে ধরিয়ে দিতেই বিপাকে খড়্গপুরের সমাজকর্মী, রাতেই আক্রোশ!
সমাজকর্মী রুকিয়া বিবিImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 17, 2025 | 10:05 PM

খড়্গপুর: মাফিয়াদের ভাতে মেরেছিলেন, তাতেই প্রতিশোধ। ড্রাগ ডিলারদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ায় খড়্গপুরের এক মহিলার বাইরে বেরনোর পথই বন্ধ করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার রাতেই খড়্গপুর থেকে দুই ড্রাগ মাফিয়া কে গ্রেফতার করিয়েছিলেন, ঠিক সকাল হতেই তার মাশুল গুনতে হল প্রতিবাদী মহিলাকে। বাড়ির বাইরে রাখা গাড়ি ভেঙে চুরে আগুন ধরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা।

শহর জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে ড্রাগসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন খড়গপুর পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের গোলখুলি এলাকার বাসিন্দা রুকিয়া বিবি ওরফে লক্ষ্মী। আর সেই লক্ষ্মী যখন জোর কদমে ড্রাগসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁর বাড়ির বাইরে রাখা একটি বড় গাড়িকে কে বা কারা  রাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আগুন ধরানোর আগে তাণ্ডবের ছাপও তাতে স্পষ্ট। আগুনের জেরে গাড়ির সামনে অংশটা পুড়ে ছাই। পুলিশকে খবর দেয় রুকিয়া বিবি । খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ  তদন্ত শুরু করে। রুকিয়া জানিয়েছেন,  খড়গপুর থেকে দুই ড্রাগ ডিলারকে ধরিয়ে দেয় তাদের পরিবারের লোকেরা । তাঁর অনুমান, সেই আক্রোশ থেকেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তিনি বলেন, “যাদেরকে ধরিয়েছি, তাদের সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। ওরা ড্রাগের কারবার করত। এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমি ড্রাগের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। সেই কারণেই ওদের ধরিয়েছি। প্রশাসনের ওপর আস্থা রয়েছে। দোষীরা সাজা পাবে।”

উল্লেখ্য, এক সময়ে খড়্গপুরে কার্যত সমান্তরাল প্রশাসন চালাত চীনু নাইডু, ডন বাসব রামবাবুরা। বাসব নাইডু এখন নিষ্ক্রিয় আর চীনু জেলে। কিন্তু খড়্গপুরে যে এখনও ড্রাগ মাফিয়ারা ভীষণভাবে সক্রিয়, পরিস্থিতি যে একটুও বদলায়নি, তার আরও একবার প্রমাণ মিলল।