HS Exam: HS Exam: পাছে বাঘ খেয়ে ফেলে! এখন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার থেকে বড় ভয় রয়্যাল বেঙ্গল

HS Exam: ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি, কাঁকড়াঝোড়, ময়ূরঝর্নার বিভিন্ন স্থানে বিগত কয়েকদিনে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর বাড়ে। যদিও পরবর্তীতে জানা যায় ওটা বাঘের পায়ের ছাপ। বাঁশপাহাড়ি সংলগ্ন ধরমপুর কাসমার এলাকাতেও মিলেছে বাঘের পায়ের ছাপ।

HS Exam: HS Exam: পাছে বাঘ খেয়ে ফেলে! এখন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার থেকে বড় ভয় রয়্যাল বেঙ্গল
ভয়ের আবহ গোটা এলাকায় Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Mar 02, 2025 | 6:20 PM

ঝাড়গ্রাম: হাতে আর মাত্র একদিন। তারপরেই উচ্চমাধ্যমিক। কিন্তু পরীক্ষার আগেই ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি, কাঁকড়াঝোড়, ময়ূরঝর্নার মতো জায়গায় জাঁকিয়ে বসেছে বাঘের আতঙ্ক। কী করে পরীক্ষা কেন্দ্র পৌঁছাবে, কীভাবেই বা সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা হবে তা ভেবেই চিন্তা বাড়ছে পড়ুয়া থেকে অভিভাবকদের মধ্যে।   

ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি, কাঁকড়াঝোড়, ময়ূরঝর্নার বিভিন্ন স্থানে বিগত কয়েকদিনে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর বাড়ে। যদিও পরবর্তীতে জানা যায় ওটা বাঘের পায়ের ছাপ। বাঁশপাহাড়ি সংলগ্ন ধরমপুর কাসমার এলাকাতেও মিলেছে বাঘের পায়ের ছাপ। মাধ্যমিকের সময় প্রশাসনের তরফে অতিরিক্ত সরকারি ও বেসরকারি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু, কী হবে উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে। এবারেও কী বাঘের আতঙ্কের আবহে পড়ুয়াদের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করা হবে? সূত্রের খবর তা এখনও সঠিকভাবে নিশ্চিত করেনি বন দফতর। তাতেই চিন্তা বাড়ছে পড়ুয়া থেকে এলাকার অভিভাবকদের মধ্যে।  

রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বেলপাহাড়ি ব্লকের বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরমপুর, কাশমার, রামপুর-সহ বিভিন্ন গ্ৰামে। অভিভাবকরা জানাচ্ছেন বাজার সংলগ্ন পরীক্ষার্থীদের সেরকম অসুবিধা নেই। কিন্তু যারা জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় থাকে তাদেরই সবথেকে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, “ছেলেরা যাতে ঠিকভাবে পরীক্ষা দিতে পারে সেই ব্যবস্থা তো প্রশাসনকেই করতে হবে। ভয়মুক্ত হয়ে যাতে পরীক্ষা চলে সেটা দেখতে হবে।” আর এক বাসিন্দা বলছেন, “উচ্চমাধ্যমিকে বাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে তো এখনও কিছু জানানো হয়নি। আগে যখন জিনাত এসেছিল ওর গলায় রেডিও কলার ছিল। ফলে কোথায় যাচ্ছে তা ট্র্যাক করা যাচ্ছিল। কিন্তু, এই বাঘের ক্ষেত্রে তো তা নেই। তাই ভয় তো বেশি বটেই।”