Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘দুর্নীতিগ্রস্ত বিশ্বজিৎ দাস দূর হটো’ গোপালনগরে পোস্টার পড়ায় অস্বস্তিতে বিজেপি

বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলের দাবি, বিজেপি একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। তাই দলের পক্ষ থেকে কখনওই এ ধরনের কুরুচিকর পোস্টার দেওয়া হয়নি। তৃণমূলই এই কাজ করে বিজেপির নামে চালাচ্ছে।

'দুর্নীতিগ্রস্ত বিশ্বজিৎ দাস দূর হটো' গোপালনগরে পোস্টার পড়ায় অস্বস্তিতে বিজেপি
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 17, 2021 | 6:28 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: পোস্টার রাজনীতিতে উত্তাল বনগাঁ। মঙ্গলবার, বনগাঁ (Bongaon) উত্তরের বিদায়ী বিধায়ক (MLA) বিশ্বজিৎ দাসের নামে পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছে গোপালনগরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। পোস্টারে লেখা, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত বিশ্বজিৎ দাস দূর হটো’। শুধু তাই নয়, বিশ্বজিৎ দাস অসামাজিক ও বেইআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত এমন দাবিও করা হয়েছে পোস্টারে। উল্লেখযোগ্যভাবে এই পোস্টারের নীচে লেখা আছে ‘বিজেপি বাঁচাও কমিটি’। আর এই পোস্টারকে কেন্দ্র করেই যাবতীয় বির্তর্কের সূত্রপাত।

ঘটনায়, গেরুয়া শিবিরের (BJP) অবশ্য অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) দিকেই। খোদ বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। ভয় পেয়েই এই সব কাজ করেছে ঘাসফুল শিবির। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। শুধু তাই নয়, এ দিন বিশ্বজিৎ আরও বলেন, ‘আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি। আমফান করোনার সময় থেকেই এই কাজ চালিয়েছি। বনগাঁতে এক লক্ষ ভোটে বিজেপি জিতবে।’

উল্লেখ্য, দলবদলু নেতা বিশ্বজিৎকে নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় ছিল গেরুয়া (BJP) শিবির। সম্প্রতি, বিধানসভার অধিবেশন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজিৎ-এর একান্ত সাক্ষাতকে কেন্দ্র করে তাঁর ‘ঘরওয়াপসির’ সম্ভাবনাও দেখেছিল সবুজ-গেরুয়া উভয়েই। তবে শেষ পর্যন্ত শিবির বদলাননি বিশ্বজিৎ। তাঁকে নিয়ে বিজেপির অভ্যন্তর ক্ষোভ হওয়া অস্বাভাবিক নয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাহলে, বিশ্বজিৎ-এর নামে পোস্টার কি দলেরই কর্মীদের কাজ?

এ প্রসঙ্গে, বিজেপির (BJP) বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলের দাবি, বিজেপি একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। তাই দলের পক্ষ থেকে কখনওই এ ধরনের কুরুচিকর পোস্টার দেওয়া হয়নি। তৃণমূলই (TMC) এই কাজ করে বিজেপির নামে চালাচ্ছে।

অন্যদিকে বিজেপির সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক শিবির। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ জানিয়েছেন, কিছু হলেই শাসক শিবিরকে আঙুল দেখানো বিজেপির সংক্রমক ব্যাধি। নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। নিজেরা জায়গা খুঁজে না পেয়ে মিথ্যাকে সত্য ও সত্যকে মিথ্যা বলে প্রচার করছে।

আরও পড়ুন: কাঞ্চনের নামের উপর গোবর লেপা, পাশেই অক্ষত প্রবীরের দেওয়াল