
তৃতীয় বছরের জন্য পুজো মাতাতে চলে এসেছে পুজোয় পালস। পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের দুই জেলায় একদিকে বীরভূম। অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুর। গোটা শুক্রের সকাল থেকে সন্ধ্যা এই দুই জেলায় মাতিয়ে রাখল পুজোয় পালসের ক্যান্টার।

এদিন পুজোয় পালসের এই ক্যান্টার থাকল বীরভূম ও উত্তর দিনাজপুরের মোট চার জায়গায়। দু'টি বীরভূমের। বাকি দু'টি উত্তর দিনাজপুরের।

সকাল ১১টায় বোলপুরের আরতি মোড়ে পৌঁছে যায় পুজোয় পালসের ক্যান্টার। সেখানে থাকে বিকাল ৩টে পর্যন্ত। এরপর সেই ট্য়াবলো সোজা চলে যায় শান্তিনিকেতনের দিকে।

শান্তিনিকেতনের কাছে বিকাল ৪টে থেকে দাঁড়ায় পুজোয় পালসের ট্যাবলো। থাকবে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত।

বোলপুর-বীরভূম তো মিটল। আরও একটি ট্যাবলো বা ক্যান্টার পৌঁছে গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ। রয়েছে একেবারে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। যা ঘিরে জড়ো হয়েছেন পথচারিরাও।

প্রথমে রায়গঞ্জের হেমতাবাদ স্কুলের সামনে পৌঁছয় পুজোয় পালসের ক্যান্টারটি। সেখানে থাকে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত। সকাল থেকে ক্যান্টার ঘিরে তৈরি হয় ভিড়। উদ্বিগ্ন চোখে দেখতে আসেন পথচারিরা।

৩টের পর সেই ক্য়ান্টার রওনা দেয় কালিয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে। সেখানে ৪টে থেকে একেবারে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত রয়েছে ক্যান্টারটি। ঢাকের বাদ্যি ও গোলমোলের স্বাদ। পুজোয় পালসের ক্যান্টারের কথা এখন মানুষের মুখে মুখে।

গত দুই বছরের সফলতাকে সঙ্গে করে তৃতীয় বছর জেলায় জেলায় ঘুরছে পুজোয় পালসের ক্যান্টার। ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ক্যান্টার ঘিরে সকলের চোখে-মুখেই ধরা পড়ছে 'আনন্দ'।

চলতি বছরে পালস এনেছে একটু ভিন্ন স্বাদ। আগের তুলনায় বদলে ফেলেছে নিজেদের। নতুন বছরের পালসের নতুন ক্যান্ডি 'গোলমোল'। যা টক-মিষ্টি তেঁতুলের স্বাদে মানুষকে ফিরিয়ে দিয়েছে তাদের 'ছোটবেলা'।

দুই জেলা ঘুরে সকাল থেকে পালস দেখেছে থিকথিক জনতার ভিড়। গোলমোলের স্বাদ নিতে এগিয়ে এসেছেন বহু মানুষ। চেখে দেখেছেন তেঁতুল স্বাদের ক্যান্ডি। ঘুরিয়েছেন স্পিন দ্য হুইলও।