Ambulance Driver Wins Jackpot: সকালে লটারি কেটে দুপুরেই এক কোটি টাকার মালিক পূর্ব বর্ধমানের অ্যাম্বুলেন্স চালক
Ambulance Driver Wins Jackpot: হীরা বলেন, ১ কোটি টাকা পাওয়ার খবর শুনে তিনি এতটাই ঘাবড়ে যান যে, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে গিয়ে উপস্থিত হন। তিনি ভয় পেয়েছিলেন যে লটারির টিকিটটি তিনি হারিয়ে ফেলবেন। পরে থানার পুলিশই তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
পূর্ব বর্ধমান: স্বপ্ন বা কোনও সিনেমার গল্প নয়, রাজ্যের এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের ভাগ্যে জুটল ১ কোটি টাকার জ্যাকপট। ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক সকালে ২৭০ টাকা দামের একটি লটারির টিকিট কিনেছিলেন। দুপুরেই জানা যায় তাঁর টিকিটের নম্বরটি পেয়েছে এক কোটি টাকার পুরস্কার। ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক বিশ্বাসই করতে পারছেন না এই তিনি এই বিশাল পরিমাণ টাকার মালিক হয়ে গিয়েছেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার (East Bardhhaman) বাসিন্দা শেখ হীরা পেশায় একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক। গত বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির কিছু জিনিস কিনতে গিয়ে তার পাশাপাশি ২৭০ টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিটও কিনে ফেলেন হীরা। এরপর নিজের কাজে চলে যান তিনি। এরপর দুপুরে লটারির ফলাফল প্রকাশিত হতেই দেখা যায় হীরার কেনা টিকিটের নম্বরটি জ্যাকপটের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কোটিপতি হয়ে যান ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক।
তবে এটাই প্রথমবার নয় হীরার লটারির টিকিট কেনা। বর্ধমান-২ ব্লকের বাম এলাকার বাসিন্দা হীরা শেখ এর আগেও বেশ কয়েকবার লটারির টিকিট কিনেছেন। হীরার বক্তব্য, তিনি প্রায়ই লটারির টিকিট কিনতেন। পাশাপাশি তিনি প্রায়ই এই স্বপ্ন দেখতেন যে একদিন তাঁর জ্যাকপট লাগবে। আর সেই স্বপ্নই অবশেষে সত্যি প্রমাণিত হল।
আগে মায়ের চিকিৎসা পরে বাড়ি
শেখ হীরার বক্তব্য, তাঁর মা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ, আর তাঁর চিকিৎসা চলছে। তবে অর্থের অভাবের কারণে তাঁর মায়ের চিকিৎসা ঠিক মতো চালাতে পারছিলেন না তিনি। তাই হীরার দাবি এত টাকা পাওয়ার পর তিনি প্রথমে মায়ের সঠিক চিকিৎসা করবেন, তারপর পরিবারের জন্য একটি ভাল বাড়ি তৈরি করবেন।
ঘাবড়ে গিয়ে দৌড়েছিলেন থানায়
সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে হীরা বলেন, ১ কোটি টাকা পাওয়ার খবর শুনে তিনি এতটাই ঘাবড়ে যান যে, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে গিয়ে উপস্থিত হন। তিনি ভয় পেয়েছিলেন যে লটারির টিকিটটি তিনি হারিয়ে ফেলবেন। পরে থানার পুলিশই তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পাশাপাশি পুলিশের একটি দল তাঁর বাড়িতেও মোতায়েন করা হয়। এই ব্যাপারে হীরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার কথা ভেবে কিছুটা চিন্তা হচ্ছে। অনেকদিন থেকেই টিকিট কাটছি। কোনওদিন ভাবতে পারিনি এত বড় অঙ্কের পুরস্কার পাব। মধ্যবিত্ত পরিবার। অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে কোনও মতে সংসার চালাই। লটারিতে জেতা টাকায় অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করব। বাড়ি করারও ইচ্ছা আছে।’