AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bardhaman Murder: পুকুর পাড়ে মহিলার গলা থেকে ফিনকি দিয়ে বেরোচ্ছে রক্ত! দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত প্রত্যক্ষদর্শীরা

Women Body Recovered: মহিলা পরিচারিকার কাজ করতে বলে জানা গেছে।

Bardhaman Murder: পুকুর পাড়ে মহিলার গলা থেকে ফিনকি দিয়ে বেরোচ্ছে রক্ত! দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত প্রত্যক্ষদর্শীরা
বর্ধমানে মহিলার দেহ উদ্ধার (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2021 | 10:31 AM
Share

বর্ধমান: মাঠের ধারে চিত্ হয়ে পড়ে রয়েছে একটা দেহ। ওড়না দিয়ে তাঁর মুখ ঢাকা। পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে রক্ত। চাপ চাপ রক্তে শুকিয়ে জমাট বেঁধেছে। সকাল হতেই ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য দেখে চমকে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ তো তাঁদের পরিচিত! বর্ধমানের কুল্লু গ্রামে এক মহিলার গলা কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল।  মৃতের নাম মৌমিতা দে (৩৭)।

মৌমিতার বাড়ি বর্ধমানের কুল্লু এলাকার বাবুপুকুর পাড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌমিতা পরিচারিকার কাজ করতেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকালে কাজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন মৌমিতা। তারপর আর বাড়ি ফেরেন নি। রাতে পরিবারের তরফে তাঁর খোঁজ করা হয়। সম্ভাব্য সমস্ত জায়গাতেই তাঁর খোঁজ করেন পরিবারের সদস্যরা।

সকালেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করবেন বলে ভেবেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁর আগেই গ্রামবাসীদের মারফত খবর মেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দেহটি চিত্ হয়ে পড়েছিল। গায়ের পোশাক সব ঠিক ছিল। তবে গলার নলি কাটা ছিল। সেখান থেকে চাপ চাপ রক্ত বের হচ্ছিল।

বর্ধমান-কালনা রোডের পাশে বাগমারি এলাকায় গলা কাটা অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। বাড়িতে খবর দেওয়া হলে মৌমিতার বাবা গিয়ে মৃতদেহ শণাক্ত করেন। পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে।

তবে কী কারণে খুন হয়ে থাকতে পারেন মৌমিতা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরিবারের সদস্যরাও এই ব্যাপারে কোনও ‘ক্লু’ দিতে পারছেন না। বাবা বলেন, “কাল বিকাল পাঁচটার কাজে যাচ্ছিল বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। কাল আমার মায়ের কাজ ছিল। আমাদের এলাকাতেই এক বাড়িতে রান্নার কাজ করত। সকাল আর সন্ধ্যায় রান্না করতে যেত। কাল রাতে বাড়ি ফিরছিল না বলে কাজের জায়গায় খোঁজ নিতে যাই। গিয়ে জানতে পারি, ও বলেই এসেছিল যে কাজে যাবে না। বাড়িতে কোনও অশান্তি হবে না। কিন্তু কেন খুন, বুঝতে পারছি না। কাউকেই সন্দেহ করতে পারছি না।”

আরও পড়ুন: Bansdroni Murder Case: ভাইয়ের বউয়ের প্রেমিকই ‘কালপ্রিট’! বাঁশদ্রোণীর যুবক খুনে রহস্যভেদ পুলিশের

আরও পড়ুন: লাইনে চোখ পড়তেই নজরে পড়ে বড় বিপদ, লাল কাপড় উঁচিয়ে ট্রেন থামালেন যাত্রীরা