Bomb Blast: তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল এলাকা, উড়ে গেল ছাদ, আতঙ্ক কেতুগ্রামে
Bomb Blast: স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ওই বাড়ির কর্তা-গিন্নি মারা যাওয়ার পর থেকে ওই বাড়িতে কেউ থাকে না। ওই বাড়ির দুই ছেলে, আর এক মেয়ে অন্য জায়গায় থাকে। বাড়িঘর তালা দেওয়া থাকে। কাউকে যেতে আসতে তাঁরা দেখেননি।

কেতুগ্রাম: তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কেতুগ্রামের চেঁচুড়ি গ্রাম। উড়ে গেল পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচালয় সহ একাংশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বোমা বিস্ফোরণের জেরে ওই বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। কিন্তু, পরিত্যক্ত বাড়িতে কারা বোমা রাখল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বোমা বিস্ফোরণের জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় চেঁচুড়ি গ্রামের ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে তীব্র বিস্ফোরণের জেরে উড়ে যায় বাড়ির একটা অংশ। বাড়ির শৌচাগারের ছাদ ভেঙে পড়ে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ওই বাড়িতে কেউ বসবাস করেন না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ওই বাড়ির কর্তা-গিন্নি মারা যাওয়ার পর থেকে ওই বাড়িতে কেউ থাকে না। ওই বাড়ির দুই ছেলে, আর এক মেয়ে অন্য জায়গায় থাকে। বাড়িঘর তালা দেওয়া থাকে। কাউকে যেতে আসতে তাঁরা দেখেননি।
তাহলে কে বা কারা ওই বাড়িতে বোমা মজুত করেছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। বিস্ফোরণে খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার আইসি এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সেখানে আসেন। কেতুগ্রাম থেকে অল্প দূরেই মুর্শিদাবাদ সীমান্ত। কী কারণে পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা মজুত রাখা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই বিস্ফোরণে জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ফারসিনা বেগম নামে এক বৃদ্ধা বলেন, “সন্ধ্যাবেলায় বাড়িতে ছিলাম। আচমকা তীব্র আওয়াজ। আগুন জ্বলে উঠল। আমাদের ঘরও কেঁপে উঠল। ভয়ে বেরোইনি।”
২ দিন আগেই তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল নদিয়ার কল্যাণী। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যু হয়। তারপর এদিন কেতুগ্রামে বিস্ফোরণ। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাধারণ মানুষের নিরাপত্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলে এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন সুকান্ত।





