AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bardhaman: ‘জয় শ্রী রাম’ বলায় ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

Bardhaman News: বাংলায় শান্তি রক্ষার বজায় মুর্শিদাবাদে হিংসাত্বক ঘটনার পর এই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও বেপরোয়া শাসক দলের নেতারা। এরই ভয়ঙ্কর রূপ এবার দেখল পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

Bardhaman: 'জয় শ্রী রাম' বলায় ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ
সিসিটিভি ফুটেজ (সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯)Image Credit: Tv9 Bangla
| Updated on: Apr 23, 2025 | 8:03 PM
Share

বর্ধমান: ‘জয় শ্রীরাম’ বলায় এক ব্যবসায়ীকে বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। গভীর রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা নিয়ে পাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢুকে ঘর থেকে ব্যবসায়ীকে বের করে নির্মম প্রহারের অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ। ঘটনায় কাঠগড়ায় শাসকদলের নেতা।

মুর্শিদাবাদের ঘটনার পর বাংলায় যাতে কোনও রকম অশান্তি না হয় তার জন্য বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও বেপরোয়া শাসক দলের নেতারা। এরই ভয়ঙ্কর রূপ এবার দেখল পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দারা। গভীর রাতে পাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢুকে এক ব্যবসায়ীকে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। রেহাই পায়নি ব্যবসায়ীর স্ত্রী। ঘটনার বিহিত চেয়ে জেলার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন আক্রান্ত ব্যবসায়ী। পরে তিনি খণ্ডঘোষ থানাতেও অভিযোগ করেছেন।

আক্রান্ত ব্যবসায়ীর নাম সুবীর মণ্ডল। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বেরুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। গত ১৭ এপ্রিল সুবীর জেলার পুলিশ সুপারের দফতরে লিখিত অভিযোগ পত্র জমা করেছেন। পুলিশ সুপারকে সুবীর মণ্ডল জানিয়েছেন, “গত ১১ এপ্রিল রাত ১০টা নাগাদ শেখ সাহাদ আলি ওরফে লকাই এর নেতৃত্বে বারো-তেরো জন তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হয়। তাদের মধ্যে মিলন মালিক ও সাবির মিদ্দে পাঁচিল টপকে প্রথমে তাঁর বাড়ির ভিতরে ঢুকে বাড়ির মূল দরজা খুলে দেয়। এরপর লকাইয়ের নেতৃত্বে সাবির মিদ্দে, মিলন মালিক,অরূপ সিং, সেখ আনিসুল,আসগর মিদ্দে সহ আরো ৫-৭ জন লাঠি হাতে আমার বাড়িতে ঢুকে পড়ে।”

সুবীর মণ্ডলের অভিযোগ, “জয় শ্রীরাম বলায় বাঁশ ও লাঠি ও তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ার পর লকাই ও তার দলবল সোজা তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে। নির্মম ভাবে মারতে মারতে তারা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে বের করে নিয়ে যায়। তারপর প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তারা বাঁশ ও লাঠি দিয়ে তাঁর মাথা সহ গোটা শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। সেই মারধরে রক্তাত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান।”

আক্রান্ত সুবীর মণ্ডল পরদিন অর্থাৎ ১২ এপ্রিল তিনি বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসা করান। তিনি জেলার পুলিশ সুপারের দফতরে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ১৮ এপ্রিল তিনি খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢুকে হামলা মারধরের সবিস্তার তাঁর বাড়ির সিসি ক্যামেরার ধরা পড়েছে বলে ব্যবসায়ী সুবীর মণ্ডল দাবি করেছেন।

বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “আশাকরি পুলিশ প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আমরা চাই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোর সাজার ব্যবস্থা করুক পুলিশ।” অন্যদিকে খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলাম বলেন, “কী হয়েছে, সঠিক ভাবে জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তবে কেউ অন্যায় করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। তবে এর পিছনে কী ঘটনা আছে তাও জানতে হবে।” পাশাপাশি, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা শেখ সাহাদ আলি ওরফে লকাইয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সুবীর আমার মা তুলে বাজে কথা বলেছিল। পাশাপাশি গ্রামের এক মহিলার অশ্লীল ভিডিয়ো ভাইরাল করেছে। সেই কারণে দলের কিছু ছেলে সুবীরের বাড়িতে গিয়েছিল। আমি সবাইকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছি।