শক্তিগড়: কয়লা মাফিয়া খুনে ক্রমেই বাড়ছে রহস্য। আব্দুল লতিফের গাড়ির চালক (যে গাড়িতে যাচ্ছিলেন রাজু ঝা) ও রাজু ঝা ঘনিষ্ঠ ব্রতিন মুখোপাধ্যায় এখন তদন্তকারীদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। ব্রতিনের বাঁ হাতে গুলি লেগেছে। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ মনে করছে, এই দু’জনের কাছেই রয়েছে রহস্যের চাবিকাঠি। তবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর তদন্তকারীরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত, পরিকল্পনা করে আট ঘাট বেঁধে খুন করা হয়েছে রাজুকে। আততায়ীরা জানত শক্তিগড়ে গাড়ি দাঁড়াবে। কিন্তু রাজুর ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, কোনও হোটেল থেকে বেরিয়ে কলকাতা আসার পথে মাঝপথে দাঁড়াতেন না রাজু। অন্ততপক্ষে শক্তিগড়ে তো কোনওদিনও দাঁড়াননি। তাহলে কেন শনিবার সন্ধ্যায় শক্তিগড়েই গাড়ি দাঁড় করিয়েছিলেন চালক? তাহলে কার নির্দেশে দাঁড়াল গাড়ি?
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শক্তিগড়ে ল্যাঙচা হাবের সামনে আব্দুলের সাদা বিলাসবহুল গাড়ি দাঁড়ায়। চালক গাড়ি থেকে নেমে একটু দূরে দাঁড়িয়েছিলেন। গাড়ির পিছনের সিটে ছিলেন ব্রতিন। আর চালকের পাশের আসনে ছিলেন রাজু। নীল রঙা আততায়ীদের গাড়ি উল্টো দিক থেকে সামনে এসে দাঁড়ায়। বাঁ দিকের জানালা দিয়ে গুলি চালানো হয়। ঝাঁঝরা হয়ে যান রাজু। সিটের পিছনে লুকিয়ে আত্মগোপনের চেষ্টা করেছিলেন ব্রতিন। তাঁর বাঁ-হাতে গুলি লাগে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি মতো, গোটা বিষয়টি অত্যন্ত সন্দেহজনক ঠেকছে তদন্তকারীদের কাছে। এটা কি নেহাতই আকস্মিক না পরিকল্পিত? প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস অবশ্য জানাচ্ছেন, গোটা বিষয়টি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ছক ২ মাস আগেও হয়ে থাকতে পারে। আপাতত গাড়ি চালক ও ব্রতিনকে নজরে রাখছেন তদন্তকারীরা।