TMC: রায়দানের আগে দোষী সাব্যস্ত বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ার পার্সন সহ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন মন্ত্রী!
TMC: ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পাল ও তাঁর বাবা। তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যারানি পাল ৬ সেপ্টেম্বর বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

বর্ধমান: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাবাকে খুনের চেষ্টা। ঘটনায় বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ার পার্সন, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে বর্ধমান আদালত। মঙ্গলবার রায়দান। সেই রায়দানের আগেই বর্ধমান আদালত চত্বরে পৌঁছে গেলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। কিছুক্ষণ পরেই হবে বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত-সহ ১৩ জনের সাজা ঘোষণা। রায়দানের আগে দোষী সাব্যস্তদের সঙ্গে দেখাও করেন মন্ত্রী।
এদিকে, আদালত দোষী সাব্যস্ত করার পর সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন কাকলি গুপ্তা তা। তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হয়। সোমবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে। হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা ও ইসিজি রির্পোটে সমস্যা থাকায় কাকলি গুপ্ত তা-কে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের উইংস অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর সঙ্গেও দেখা করেন মন্ত্রী। এক্ষেত্রে মন্ত্রীর বক্তব্য,” সকলেই দলের কর্মী। তাই তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসা।”
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়িগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় আহত হন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পাল ও তাঁর বাবা। তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যারানি পাল ৬ সেপ্টেম্বর বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ছিল, ঘটনার জেরে জীবন পালের বাবার চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। সোমবার ফাস্ট ট্রাক সেকেন্ড কোর্ট বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই মামলায় ১৩ জনকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। বাকি দুজন বেকসুর খালাস হন। দোষীসাব্যস্তদের মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান ১ ব্লকের ব্লক সভাপতি তথা বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত, বর্ধমান ১ ব্লকের যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য, অঞ্চল সভাপতি শেখ জামাল, রায়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ-সহ আরও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা।





