AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘শুভেন্দুবাবুর সহায়তা কেন্দ্র’ গেরুয়া থেকে ফের নীল-সাদা, কার্যালয় পুনরুদ্ধার তৃণমূলের

গেরুয়ার উপর প্রথমে চুনকাম, তারপর নীল-সাদা রঙের পোচ পড়েছে। তৃণমূলের পতাকা, তৃণমূল নেত্রীর ব্যানার ঝোলানো হয়েছে সেখানে।

'শুভেন্দুবাবুর সহায়তা কেন্দ্র' গেরুয়া থেকে ফের নীল-সাদা, কার্যালয় পুনরুদ্ধার তৃণমূলের
কার্যালয় পুনরুদ্ধার পর্ব শুরু কাঁথিতে।
| Updated on: Dec 17, 2020 | 1:43 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দূরত্বে জেলাজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন ‘দাদার অনুগামী’রা। কখনও পোস্টার-ফেস্টুনে রাস্তা ঢেকে দিয়েছেন, আবার কখনও রাতারাতি খুলে ফেলেছেন গেরুয়া রঙে রাঙানো ‘শুভেন্দু অধিকারী সহায়ক কেন্দ্র’। কাঁথিতে (Contai) একাধিক সমিতির অফিস, তৃণমূলের কার্যালয়ে এই  খোলনলচে বদল দেখা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেইসব অফিস পুনরুদ্ধার করল শাসকদল। নীল সাদা রং, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, তৃণমূলের পতাকায় সাজানো হল সেগুলি।

এই দেওয়ালই কারা যেন গেরুয়া করে দিয়েছিল রাতারাতি।

কাঁথি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর বাসস্ট্যান্ডে ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে সম্প্রতি গেরুয়া রং করে দেওয়া হয়। বাইরে নতুন বোর্ড ঝুলিয়ে কারা যেন লিখে দেন ‘শুভেন্দু অধিকারী সহায়ক কেন্দ্র’। এদিন দেখা গেল সেই বোর্ড সরে গিয়েছে। গেরুয়ার উপর প্রথমে চুনকাম, তারপর নীল-সাদার পোচ পড়েছে। তৃণমূলের পতাকা, তৃণমূল নেত্রীর ব্যানার ঝোলানো হয়েছে সেখানে।

চলছে দলীয় কার্যালয় পুনরুদ্ধারের কাজ। কাঁথির ৯ নম্বর ওয়ার্ডে চলছে রং বদল।

কাঁথি নম্বর ৯ নম্বর ওয়ার্ডেও একই ছবি। সেখানকার তৃণমূল কার্যালয় শুভেন্দুর সহায়ক কেন্দ্র হয়ে গিয়েছিল বেমালুম। লক্ষ্মীবারে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সহ সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তা উদ্ধার করলেন। সেখানেও গেরুয়া ঢেকে গেল নীল সাদায়। সুপ্রকাশ গিরির কথায়, “বিজেপির কিছু হার্মাদ এসে তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করার চেষ্টা করে বুধবার। গেরুয়া রং করে দেয়। পড়ুয়াদের জন্য রাখা খাবারের সামগ্রীও নিয়ে পালিয়েছে। রাতের অন্ধকারে যারা লুকিয়ে এসব করেছে, তারা কাপুরুষ। আমরা আবার তা উদ্ধারও করে নিলাম।”

গেরুয়া ঢেকে যাচ্ছে নীল সাদায়। শুভেন্দুর অনুগামী কণিষ্ক পণ্ডার কার্যালয়।

দাদার অনুগামী হিসাবে জেলায় পরিচিত কণিষ্ক পণ্ডাকে যেদিন তৃণমূল বহিষ্কার করে সেদিন এরকমই এক গেরুয়া কার্যালয়ে বসে তিনি জানিয়েছিলেন, শুভেন্দু ছাড়া জেলায় কারও কোনও শক্তিই নেই। এদিনও একই কথা কণিষ্কর মুখে। তাঁর দাবি, গণতান্ত্রিক উপায়ে তাঁরা এর প্রতিবার করবেন।