AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Digha: ৭ মাসেই নতুন মাইলফলক, বছর শেষেই কোটির রেকর্ডের হাতছানি দিঘায়

Digha Jagannath Temple: প্রায় ১৭০ জন স্থানীয় বাসিন্দার কর্মসংস্থান হয়েছে এখানে। নিরাপত্তা, সাফাই, নানাবিধ সেবা, গাইড, এবং হাউসকিপিং-এর মতো বিভিন্ন কাজে তাঁরা বহাল রয়েছেন। মন্দির ট্রাস্টির সদস্য রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, প্রণামী, অনুদান, উপহার ও ভোগ বিক্রির আয় দিয়েই এই বিশাল কর্মযজ্ঞের যাবতীয় খরচ বহন করা হচ্ছে।

Digha: ৭ মাসেই নতুন মাইলফলক, বছর শেষেই কোটির রেকর্ডের হাতছানি দিঘায়
প্রতি মাসে বাড়ছে ভিড় Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2025 | 11:09 AM
Share

দিঘা: মন্দিরের দরজা খুলেছে প্রায় ৭ মাস হয়ে গেল। আর তাতেই যেন একধাক্কায় সৈকতনগরীর আর্থ-সামাজিক অবস্থাটাই বদলে যাচ্ছে। উদ্বোধনের পর থেকে প্রতি মাসেই যেন হচ্ছে নিত্যনতুন রেকর্ড। বছর শেষেই কার্যত আরও এক নতুন মাইলফলক তৈরির অপেক্ষায় দিঘার জগন্নাথ ধাম ও সংস্কৃতি কেন্দ্র। গত প্রায় সাত মাসে এখানে প্রায় ৯০ লক্ষেরও বেশি ভক্তের সমাগম দেখা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতি বছরই শীতের মরসুমেও ভালই ভিড় দেখা যায় দিঘায়। এবার সেই সংখ্যাটা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে হোটেল সংগঠনের লোকজন। 

গত ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে নির্মিত বাংলার এই নতুন তীর্থক্ষেত্রের দরজা খুলে গিয়েছে। তারপর রাজ্য তো বটেই বাইরের রাজ্য থেকেও এখানে নেমেছে ভক্তদের ঢল। এবার মাত্র আট মাসের মধ্যে এবার কোটির মাইলফলক স্পর্শের এই হাতছানির খবর স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত দিঘায় আগত পর্যটকেরাও।  

প্রায় ১৭০ জন স্থানীয় বাসিন্দার কর্মসংস্থান হয়েছে এখানে। নিরাপত্তা, সাফাই, নানাবিধ সেবা, গাইড, এবং হাউসকিপিং-এর মতো বিভিন্ন কাজে তাঁরা বহাল রয়েছেন। মন্দির ট্রাস্টির সদস্য রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, প্রণামী, অনুদান, উপহার ও ভোগ বিক্রির আয় দিয়েই এই বিশাল কর্মযজ্ঞের যাবতীয় খরচ বহন করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে মন্দিরের। অন্যদিকে দিঘা শংকরপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলছেন, “সত্যিই এক অন্য ছবি দেখা যাচ্ছে দিঘায়। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লক্ষ মানুষ এখানে এসেছেন। আগামী মাসের মধ্যেই তা ১ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।” একই মত হোটেল মালিক প্রমোতোষ ঘোড়াইয়েরও। তিনি বলছেন, আগের থেকে বুকিংও অনেক বেড়ে গিয়েছে। সামনে আবার বড়দিন, নিউ ইয়ার রয়েছে। ফলে বর্ষশেষে নতুন রেকর্ড তৈরি এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।