BJP Worker Died: প্রথমে পিটিয়ে ও পরে কুপিয়ে খুন বিজেপি কর্মীকে, কাঠগড়ায় শাসকদল
Crime: আজ সকালে কেলেঘাই নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।
পূর্ব মেদিনীপুর: ফের খুনের ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur)। এবার রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন বিজেপি কর্মীকে (Bjp Worker)। তৃণমূলই এই কাজ করেছে অন্তত এমনটাই অভিযোগ করছেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের।
মৃতের নাম শম্ভু মাইতি। জানা গিয়েছে, তিনি বিজেপির শক্তিকেন্দ্রের যুব নেতা ছিলেন। আজ সকালে দেড়িয়া দিঘি এলাকার নান্টু প্রধান কলেজের কাছে কেলেঘাই নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। বিষয়টি নজরে আসতেই এলাকাবাসী খবর দেয় পুলিশে। ভগবানপুর থানার পুলিশ পৌঁছে যায় ওই এলাকায়। দেহটি উদ্ধার করে প্রথমে ভগবানপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর।
বিজেপির অভিযোগ, আহত ওই ব্যক্তিকে রাস্তা থেকেই তুলে যায় তৃণমূল দুষ্কৃীতিরা। তারাই পিটিয়ে মেরেছে তাঁকে। এরপর এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়েও কোপ মারা হয়েছে বলে খবর।
এই ঘটনায় এক বিজেপি কর্মী বলেন, “গতকাল রাত দশটা নাগাদ রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর নদীর পাড়ের কাছে মারধর করে। পড়ে মারধর করে তাঁকে নান্টু কলেজের কাছে ফেলে রেখে দেওয়া হয়। আমাদের স্থানীয় কর্মীরা ভয়ে ওই এলাকায় যেতে পারেনি। এরপর ফোন আসে আমার কাছে। শম্ভু মাইতির খবর পাই। তখন ভগবানপুর থানার ওসিকে আমি ফোন করি। উনি জানান যে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ওঁকে আর বাঁচানো যায়নি। এই নিয়ে দু’বার একই ঘটনা হল। এর আগেও একবার ওকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। আসলে এলাকাবাসীর পাশে ছিল শম্ভু। তাই একপ্রকার সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। ”
উল্লেখ্য, জেলায় বারবার খবরে এসেছে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। কিছুদিন আগেই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে নেমে পড়েছিলেন যুযুধান দুই গোষ্ঠীর নেতারা। এক দিকে, অধিকারী পরিবারের বিদায়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের একেবারে প্রথম সারিতে চলে আসা অখিল গিরি ও তাঁর ছেলে সুপ্রকাশ গিরি এবং অন্যদিকে, তরুণ জানা। তবে, গত বৃহস্পতিবার সম্পূর্ণ অন্য ছবি দেখা গেল। পুজো উদ্বোধনে দুই তৃণমূল নেতাকে একই মঞ্চে পাশাপাশি দাঁড়াতে দেখা গেল এদিন।
দীপাবলির দিন সকালে, স্থানীয় একটি পুজোর অনুষ্ঠানে এসে সেখানে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তরুণ জানা বলেন, “আমরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। নীতির পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু সামাজিক কোনও অনুষ্ঠানে দলের নীতি মেনে আমরা সবাই এক। এতে কোনও বিতর্ক নেই। সমস্যা আছে তা আমরা বসে আলোচনার মাধ্যমে সময় করে মিটিয়ে নেব।”