AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC leaders-CBI: সকাল ৬ টার আগেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে আধার-ভোটার কার্ড চাইল CBI, নজরে ৩০ নেতা

TMC leaders-CBI: ওই বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে ও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাই এই খুন করছে। মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়। পরবর্তীতে সেই তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে।

TMC leaders-CBI: সকাল ৬ টার আগেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে আধার-ভোটার কার্ড চাইল CBI, নজরে ৩০ নেতা
পূর্ব মেদিনীপুরে সিবিআইImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 17, 2024 | 2:36 PM
Share

কাঁথি: সাত সকালে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হাজির কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। একজন নয়, সিবিআই-এর নজরে একাধিক তৃণমূল নেতা। মোট ৩০ জন তৃণমূল নেতাকে নোটিস পাঠিয়ে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। ভোট প্রচারের জন্য কেউ হাজিরা দেননি বলে জানা গিয়েছে। এরপর আজ শুক্রবার একাধিক নেতার বাড়িতে পৌঁছন তদন্তকারীরা। বেশ কিছু নথি দেখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় এই তল্লাশি চালানো হয়েছে।

মূলত ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় কাঁথি ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বেজ সহ ৩০ জন তৃণমূল নেতাকে নোটিস পাঠিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের সময় কাঁথি তিন নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নন্দ মাইতিকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে এলাকার দাপুটে বিজেপি নেতা জন্মেজয় দলুইয়ের বিরুদ্ধে। ভোট পরবর্তী সময়ে ওই বিজেপি কর্মী জন্মেঞ্জয় দলুইকে পাল্টা মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। পরে ফাঁকা মাঠ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ। সেখান থেকেই মামলার সূত্রপাত।

ওই বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে ও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাই এই খুন করছে। মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়। পরবর্তীতে সেই তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। সেই মামলার তদন্তে নেমে ২ দফায় মোট ৩০ জন তৃণমূল নেতাকে তলব করে সিবিআই।

এবার লোকসভা ভোট চলাকালীন, বিরোধী দলনেতার জেলায় গেল সিবিআই। সকালে দুই তৃণমূল নেতার বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ঢুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মারিশদার সিজুয়া গ্রামে সকাল ৬টা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে ফেলেন তদন্তকারীরা। তারপর বাড়িতে ঢুকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।

হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় একাধিক তৃণমূল নেতার নাম থাকলেও দিন মূলত দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। মারিশদা থানা এলাকার ভাজাচাউলির সিজুয়া গ্রামের নন্দদুলাল মাইতির বাড়িতে যায় সিবিআই। নন্দদুলাল মাইতির ছেলে বুদ্ধদেব মাইতির খোঁজখবর শুরু করে তারা। বুদ্ধদেব মাইতি কর্মসূত্রে হাওড়াতে থাকেন। নন্দ মাইতি এবং তাঁর স্ত্রীর ভোটার কার্ড, আধার কার্ দেখতে চায় সিবিআই। পাশাপাশি তৃণমূল নেতা দেবব্রত পণ্ডা’র বাড়িতেও হাজির হয় সিবিআই।

পাশাপাশি আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি বিকাশ বেজের বাড়িতে গেলেও সেখানে আপাতত তালা লাগানো রয়েছে। বাড়িতে নেই পরিবারের কেউ। এ ছাড়াও এলাকায় আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতার বাড়ির খোঁজ করছে বলে জানা গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা বলেন, আত্মবিশ্বাসের এত অভাব। এবার ৪০০ পার তো দূরের কথা কেন্দ্রে সরকারই গঠন করতে পারবে না বিজেপি।