chicken: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, পুজোর আগেই বন্ধ হয়ে গেল মুরগি সাপ্লাই, বাজারে ব্যাপক প্রভাব
chicken: হাতে আর একমাস বাকি নেই। তার পরই দুর্গাপুজো পালিত হবে রাজ্যজুড়ে। সেখানে অসুস্থ হলে পুজো মাটি হয়ে যাবে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "ওড়িশায় অসুখ সেরে গেলে আমরা ওদের জিনিস নেব। কিন্তু মানুষকে বিপদে ফেলে এটা করতে দেওয়া যায় না।
পূর্ব মেদিনীপুর: ‘বার্ড ফ্লু আতঙ্ক’ সীমান্ত সিল করা হোক যাতে ওড়িশার মুরগি বাংলায় না ঢোকে’। কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই ফাঁক রাখতে নারাজ পুলিশ। ২৪ ঘণ্টাই দিঘা বর্ডারে চলছে নানা চেকিং। বাংলার প্রতিবেশী ওড়িশা। আর সেখানে হানা দিয়েছে ‘বার্ড ফ্লু’। এই আবহে ওড়িশার অসুস্থ মুরগি বাংলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ব্যবসার স্বার্থে এমন কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওড়িশার এই অসুস্থ মুরগি বাংলায় ঢোকাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। সোমবার এই অভিযোগ তুলে বাংলার সীমানা সিল করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি রেলপথের মাধ্যমেও যাতে ওড়িশার মুরগি বাংলায় ঢুকতে না পারে তাঁর জন্য রেলের সঙ্গে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিবকে। ইদানিং রাজ্যের নানা প্রান্তে বার্ড ফ্লু আক্রান্তের খবর মিলেছে। সামনে দুর্গাপুজো। এই পরিস্থিতিতে সোমবার নবান্নের সভাঘরে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগাম সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, “আমার কাছে খবর এসেছে ওড়িশায় বার্ড ফ্লু ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। তারপরও মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এই সীমানা দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাংলায় অসুস্থ মুরগি নিয়ে আসছেন। ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু পচা জিনিস নিয়ে এসে মানুষের অসুস্থ করে ফেলা সমর্থনযোগ্য নয়। আমি অফিসারদের নির্দেশ দিচ্ছি, সীমান্ত সিল করা হোক। যাতে ওড়িশার মুরগি বাংলায় না ঢোকে।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিএসএফ-কে কড়া নির্দেশ দেন। তাঁর বক্তব্য, ‘কয়লা, গরু, বালি পাচার দেখার দায়িত্ব বিএসএফের। কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিএসএফকে বলব সীমানা কড়া হাতে রক্ষা করুন। কেউ টাকা খেয়ে পাচার করবে আর আমাদের সরকার তার বদনাম কুড়াবে এটা চলতে পারে না। সীমান্ত সুরক্ষা দেওয়ার কাজ বিএসএফের। এখানে কোনওরকম গাফিলতি। চলবে না। আমি পুলিশকেও বলব চোখ কান খোলা রাখতে। যাতে এমন কোনও কাজ হতে না পারে।’
হাতে আর একমাস বাকি নেই। তার পরই দুর্গাপুজো পালিত হবে রাজ্যজুড়ে। সেখানে অসুস্থ হলে পুজো মাটি হয়ে যাবে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “ওড়িশায় অসুখ সেরে গেলে আমরা ওদের জিনিস নেব। কিন্তু মানুষকে বিপদে ফেলে এটা করতে দেওয়া যায় না। বার্ড ফ্লু যতক্ষণ না ঠিক হচ্ছে ততক্ষণ রাজ্য সরকারের সব নির্দেশ মানতে হবে।”
তাঁর কথায়, “যদি কেউ অন্যথা করে সেক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে রেহাত করা হবে না। প্রতিবেশী রাজ্যে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণে ঝুঁকি থেকে যায় বাংলার জন্যও। তাই এবার ওড়িশা সীমানা সিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।” পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা, এগরা এলাকার সোলপাট্টা, পশ্চিমের মোহনপুর-সহ এলাকায় বিশেষ নজর রাখছে ও চলছে নাকা চেকিংও।