AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফের শান্তিকুঞ্জের সামনে হাজির সিআইডি, শুভেন্দুর বাড়ির এলাকার ছবি তুলছেন গোয়েন্দারা

শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় সম্প্রতি নতুন করে এফআইআর করেছেন তাঁর স্ত্রী। আর তার ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে তদন্ত।

ফের শান্তিকুঞ্জের সামনে হাজির সিআইডি, শুভেন্দুর বাড়ির এলাকার ছবি তুলছেন গোয়েন্দারা
শুভেন্দুর বাড়ির সামনে গোয়েন্দা অফিসাররা
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2021 | 2:56 PM
Share

তমলুক: শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করছে সিআইডি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী কি আত্মঘাতী হয়েছিলেন? নাকি তাঁর মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য। তা খতিয়ে দেখতেই বারবার কাঁথিতে যাচ্ছেন গোয়েন্দা অফিসারেরা। আজ, শনিবার ফের বিরোধী দলনেতার বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’-এর সামনে পৌঁছে যান সিআইডি-র প্রতিনিধিরা। শুভেন্দুর বাড়ির সামনে পুলিশ ব্যারাকেই থাকতেন তাঁর দেহরক্ষী। তাই তদন্তের কাজে বারবার সেখানে যাচ্ছেন তাঁরা। এ দিন এলাকার ভিডিয়োগ্রাফিও করেন তদন্তকারীরা।

জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে পুলিশ ব্যারাকে ঢুকে চারপাশ খতিয়ে দেখে সিআইডির এই টিম। ঘটনার পুনর্নির্মান করার চেষ্টাও করেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে যান চার জনের প্রতিনিধি দল। শুধু পুলিশ ব্যারাক নয়, গোটা এলাকার ছবিও এ দিন তুলে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। এ দিন তদন্তের সময় আধিকারিকদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি আধিকারিকদের সহযোগিতা করেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তমলুকের মানিকতলা জেলা পুলিশ লাইনে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সে দিনও প্রতিনিধি দলে ছিলেন ৪ তদন্তকারী। পুলিশ লাইনে থাকা মোট ১১ জন শুভব্রতের তৎকালীন সহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি দলের প্রতিনিধিরা। প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। এ ছাড়া শুভেন্দুর বাড়ির সামনে আগেও গিয়েছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।

শুভব্রত চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী ছিলেন। ২০১৮ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুভব্রতর তিন বছর পর তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী কাঁথি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এই মৃত্যু রহস্যের কারণ উদঘাটন করার দাবিতে এফআইআর করেন।

অভিযোগ পত্রে তিনি লিখেছেন, ২০১৮ সালে যখন স্কুলে কর্মরত ছিলেন, তখন তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি হওয়ায় কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় শুভব্রতর। এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই কি অ্যাম্বুলেন্স সেদিন দেরিতে এসেছিল? আরও পড়ুন: ১ অক্টোবর থেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ ইউজিসির