পূর্ব মেদিনীপুর: দলের (Trinamool Congress) হয়ে কাজ না করলেও দলের বিরুদ্ধেও কোনও কাজ করেননি। তাই আপাতত দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কড়া কোনও পদক্ষেপ নয় দলের। ভোটের শুরু থেকেই জল্পনা ছিল, বিজেপিতে যেতে পারেন তিনি। কিন্তু যাননি। এবার জেলা তৃণমূলের বহিষ্কারের যে তালিকা সেখান থেকেও বাদ রাখা হয়েছে দিব্যেন্দুর নাম। তমলুকে জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে নেওয়া হয়েছে এমনটাই সিদ্ধান্ত। দিব্যেন্দুকে নিয়ে যা সিদ্ধান্ত তা রাজ্য নেতৃত্ব নেবে বলেও জানানো হয়েছে।
ভোটের অনেক আগে থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিন্ন করে দেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। দলের কোনও কাজে তিনি না থাকলেও দল সম্পর্কে কোনও মন্তব্যও করতে শোনা যায়নি তাঁকে। শুক্রবার নতুন বিধায়ক ও দলীয় আধিকারিকদের সঙ্গে নিমতৌড়ি শিক্ষাভবনে সাংগঠনিক বৈঠক শেষে তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জেলা নেয় না। যা সিদ্ধান্ত রাজ্যস্তর থেকে হয়। ভোটের সময় উনি দলের হয়ে কাজ করেননি তা সব জায়গায়ই দেখেছি। কিন্তু দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন এমন প্রমাণও নেই। তাই ওনার অবস্থানটা কী তা রাজ্য বিচার করবে।”
আরও পড়ুন: আজ সপ্তদশ বিধানসভার প্রথম অধিবেশন, থাকছেন না বিজেপি বিধায়করা
তবে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক রঞ্জিত মণ্ডল ও জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষকে। সৌমেন মহাপাত্র জানান, দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে পদ ফিরে পেয়েছেন প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা। এর আগে সোমনাথকে চক্রান্ত করে পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত বহিষ্কৃত দুই নেতার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।