কাঁথি: ঘূর্ণিঝড়ের অশনি সংকেত। দুর্যোগের পূর্বাভাস মাথায় রেখেই ভোট চলছে কাঁথি, তমলুকে। এদিকে সকাল থেকেই যেন দ্রুত বদলে যাচ্ছে দিঘার মুড। ইতিমধ্যেই প্রবল জলোচ্ছ্বাসও শুরু হয়ে গিয়েছে সমুদ্রে। সকাল থেকেই বিশালকার সব ঢেউ আছড়ে পড়ছে দিঘার উপকূলে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, রেমাল সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায়। এদিকে ভোটের আবহে দিঘা কার্যত পর্যটক শূন্য। কিন্তু, সকাল থেকেই সমুদ্র গর্জন দেখতে সমুদ্রপাড়ে ভিড় করতে দেখা যায় অনেক স্থানীয় লোকজনকে।
হাওয়া অফিস বলছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আরও ভোল বদল দেখা যেতে পারে আবহাওয়ার। বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় রেমাল আছড়ে পড়তে পারে বাংলা-বাংলাদেশ উপকূলে। পূর্বাভাস এমনটাই। সে কারণেই ইতিমধ্যেই দিঘায় মৎসজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পর্যটকদের স্নানের ক্ষেত্রেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
এদিকে এদিন সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে কাঁথি সহ পাঁচ জেলার আটটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ। বিভিন্ন বুথে সকাল থেকেই ভোটারদের লম্বা লাইন। একই ছবি তমুলকেও। বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবিও সামনে এসেছে নানা প্রান্ত থেকে। তৎপর নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতেও তৎপর রয়েছে প্রশাসন। চলছে দফায় দফায় বৈঠক। খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম।