এগরা: মঙ্গলবার দুপুর। শুরু হয় ধ্বংসের ছবি দিয়ে। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় ঘটে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাস্তায়-রাস্তায় কোথায় পড়ে ছিল পা,কোথাও পড়েছিল কারোর হাত। আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত ভানু বাগ পলাতাক। বিজেপির দাবি এই কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগ তৃণমূল করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের দিন ভানুর শরীরেও আঘাত লাগে। তবে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী চম্পট দেন এলাকা থেকে। গ্রামবাসীদের দাবি, বাইকে করে ওড়িশা পালিয়েছেন তিনি। বাইকের মাঝখানে বসেছিলেন ভানু। পিছনে আর একজন বাতাস করতে-করতে সাহারা গ্রাম থেকে ওড়িশার দিকের রাস্তা থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। এক এলাকাবাসী বলেন, “আমি দেখেছি পালিয়ে যেতে। ওর শরীর পুড়ে গিয়েছে। মোটরবাইকে চারজন ছিল। একজন মহিলাও ছিলেন।”
প্রসঙ্গত, এ দিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জনের অবস্থা গুরুতর। সারা দেহে আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত দু’জনের দেহের একাধিক অঙ্গ। প্রসঙ্গত, দুপুরে পুলিশ সুপার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান যে, বেআইনি বাজি কারখানা চালানোর অভিযোগে এই ভানুকে এর আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে আদালতে তিনি জামিন পেয়ে যান। এরপর ফের লুকিয়ে এই বাজি কারখানা চালাতে শুরু করেন অভিযুক্ত।
এ দিকে, বিজেপি দাবি করছে অভিযুক্ত ভানু তৃণমূল করে। এই ঘটনায় এনআইএ (NIA)তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীও সম্মতি জানিয়েছেন তাতে। তবে ভানু তৃণমূল কর্মী মানতে নারাজ মমতা। তিনি বলেন, “যদি তিনি তৃণমূলের লোক হতেন, তাহলে বেআইনি বাজি কারখানা চালানোর জন্য কেন রাজ্য পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করল? কিছুদিন আগে পঞ্চায়েতটা কিনে নিয়েছে বিজেপি। সুতরাং আমাদের পঞ্চায়েতও নেই। ওদের বলুন রাজনীতি না করতে। এটা বিজেপি, তৃণমূল বা সিপিএমের ব্যাপার নয়।”