সন্দেশখালি: এই সন্দেশখালিই মহিলাদের করা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মাস কয়েক আগে। এরই মধ্য়ে সন্দেশখালিতে লেগেছে ভোটের হাওয়া। বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন সেখানকারই এক মহিলা। এসবের মধ্য়ে আবারও নতুন অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার সেই অঞ্চলে। নতুন করে দায়ের হল এফআইআর। উঠল ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। আবারও কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতারা। বৃহস্পতিবারই অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। সেখানে দিলীপ মল্লিক, পিকাই দাস নামে দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। সকালে বসিরহাট আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যান তিনি। জেনারেল ডায়েরিতে আগেই দিলীপ মল্লিক ও পিকাই দাসের নাম দেখা গিয়েছিল। পরে এফআইআরে তাঁদের নামের পাশাপাশি অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনের কথাও উল্লেখ করা হয়।
ওই মহিলার অভিযোগ, বাড়ি থেকে অন্ধকারে বেরনোর সময় তাঁকে আচমকা পিছন থেকে জাপটে ধরেন তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। শিবু হাজরার ভেড়ি পর্যন্ত টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এরপর অভিযুক্তরা ফোনে কথা বলছিলেন। সেখানেই দিলীপ আর পিকাইয়ের নাম শুনতে পান ওই মহিলা। তাঁর দাবি, ওই দুজনের নির্দেশেই ঘটেছে পুরো ঘটনাটা।
অভিযোগকারিণী মনে করছেন, কাউকে মেরে ফেললে বা ধর্ষণ করলে মায়েরা বয়ান বদলাবে, এটাই চাইছেন অভিযুক্তরা। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন তিনি। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন মহিলা।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজনৈতিক মহলও। বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, “সন্দেশখালির আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা চলছে, কারণ মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে কী ধরনের রাজনীতি চলছে রাজ্যে। গরিবকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু আন্দোলন বন্ধ হতে দেব না।”