Suvendu Adhikari: ‘তৃণমূল উস্কানি দিচ্ছে না তো?’, হুমায়ুনের বাবরি নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari on Humayun: এদিন নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, 'তৃণমূল সুপ্রিমো হুমায়ুন কবীরকে বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য উস্কানি দিচ্ছেন কিনা কিংবা তাঁর নেপথ্য়ে রয়েছেন কিনা, সেটাও তো জানতে হবে। উনি তো আগেই বলেছিলেন, দলের নির্দেশে উগ্র মৌলবাদী রাজনীতি করেছেন।'

পূর্ব মেদিনীপুর: সাসপেন্ড নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। তবে বেলডাঙায় শিলান্যাস হতে চলা বাবরি মসজিদের নেপথ্যে তৃণমূলেরই হাত নেই তো? দলের ‘হাজার আপত্তি’ সত্ত্বেও বাবরি নিয়ে অনড় ভরতপুরের তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এমনকি, এর জন্যই তাঁকে দল থেকে ‘নিলম্বিত’ করা হয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন বিধায়ক। তবে গোটা ব্যাপারটাকেই এত সহজভাবে দেখছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল সুপ্রিমো হুমায়ুন কবীরকে বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য উস্কানি দিচ্ছেন কিনা কিংবা তাঁর নেপথ্য়ে রয়েছেন কিনা, সেটাও তো জানতে হবে। উনি তো আগেই বলেছিলেন, দলের নির্দেশে উগ্র মৌলবাদী রাজনীতি করেছেন।’
বরাবরই নতুন দল খোলার হুঙ্কার তুলেছেন হুমায়ুন। ডিসেম্বরেই সেই নিয়ে ‘পাকা কথা’ সেরে নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘আমরা কারোর ভরসায় বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আনতে চাই না। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে জাতীয়তাবাদী, বিকাশবাদী, সুশাসন, সুরক্ষা, পেটে ভাত, হাতে কাজ, মাথায় ছাদ, নারীর সম্মান, নারীর সুরক্ষা। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য একুশটি রাজ্যে বিজেপির সরকার রয়েছে এবং বিহারেও দল বিপুল জয় পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপির ক্ষমতায় আসা দরকার।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। ঠিক যে সময় মুর্শিদাবাদে সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়েই দল থেকে হুমায়ুনের কাছে এল সাসপেন্ড নোটিস। এদিন রাজ্য়ের মন্ত্রী তথা মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, ‘ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তাঁদের দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক থাকবে না।’ অর্থাৎ ধর্মের কাঁটায় অবশেষে বিদ্ধ হলেন হুমায়ুন। অবশ্য, তাতে তার উপর কোনও ‘প্রভাব পড়বে না’ বলেই জানিয়েছেন তিনি।
