AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nandigram: জুলফিকরের কাকাও বাবা, শ্বশুরও বাবা! আসল বাবা কে? ধন্দে সবাই

Purba Medinipur: দু'টি বুথে রয়েছেন ওই ব্যক্তির দু'জন বাবা। অভিযোগ, একটি বুথে নিজের কাকুকে বাবা বানিয়েছেন আবার অপর একটি বুথে নিজের শ্বশুরকে বাবা বানিয়েছেন। তবে নিজের আসল বাবারই নেই কোনও অস্বিত্ব। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নন্দীগ্রামে আলোচনা শুরু।

Nandigram: জুলফিকরের কাকাও বাবা, শ্বশুরও বাবা! আসল বাবা কে? ধন্দে সবাই
জুলফিকর Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2025 | 4:48 PM
Share

নন্দীগ্রাম: এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া বাংলায় চালু হতেই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ছবি। কখনও শ্বশুরকে বাবা বানানোর অভিযোগ সামনে এসেছে, কখনও খবর মিলছে একজন ব্যক্তির দু’জন স্ত্রী। আর এবার খোঁজ মিলল একজনের দু’দুজন বাবার। দু’টি বুথে রয়েছেন ওই ব্যক্তির দু’জন বাবা। অভিযোগ, একটি বুথে নিজের কাকুকে বাবা বানিয়েছেন আবার অপর একটি বুথে নিজের শ্বশুরকে বাবা বানিয়েছেন। তবে নিজের আসল বাবারই নেই কোনও অস্বিত্ব। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নন্দীগ্রামে আলোচনা শুরু।

পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা শেখ জুলফিকার। তাঁর আসল বাবা শেখ মণিরুল ইসলাম। এই মণিরুল ইসলামের ভাই অর্থাৎ জুলফিকারের কাকু শেখ মফিজুল ইসলাম দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নয়নান গ্রামে ১৯৩ নম্বর বুথের বাসিন্দা। তিনিই প্রথম নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। শেখ মফিজুলের অভিযোগ, তাঁর দাদা অর্থাৎ মণিরুল ইসলাম তিনি এখনো জীবিত রয়েছেন। তাঁর দাদার ছেলে শেখ জুলফিকার বর্তমানে নন্দীগ্রামের কেন্দামারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোপীমোহনপুরে বিয়ে করেছেন। এখন নিজের শ্বশুরবাড়িতেই ২১৩ নম্বর বুথে বসবাস করেন। অথচ, তিনি দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৯৩ নম্বর বুথে নিজের বাবাকে বাদ দিয়েছেন। আর কাকাকে বাবা সাজিয়ে মফিজুলের নাম তুলেছেন। আবার কেন্দ্রামারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোপী মোহনপুর ২১৩ নম্বর বুথে বাবা হিসেবে শ্বশুরের নাম শেখ এনামুল হোসেনকে দেখিয়ে ভোটার লিস্টে তুলেছেন। অর্থাৎ দুটো বুথেই ভোটার কার্ড রয়েছে। আবার দু’জন বাবাও রয়েছেন। তিনি বলেন, “জুলফিকর আমার দাদার ছেলে। ভোটার লিস্টে দেখি আমায় বাবা বানিয়ে লিস্ট বানিয়েছে। ও যেই ঠিকানা দিয়েছে এখানে থাকে না। আর যেখানে থাকে সেখানে শ্বশুরকে বাবা বানিয়ে দিয়েছে।”

যদিও,যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই জুলফিকারের দাবি, তিনি শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। তাই ভোটার কার্ড ট্রান্সফার করতে গিয়ে কিভাবে তাঁর শ্বশুরের নাম বাবার জায়গায় এসেছে তিনি বুঝতে পারছেন না। আবার নিজের জন্মভিটাতে তাঁর বাবার নাম কী করে বাদ গেল তিনি নাকি সেটাও জানেন না। জুলফিকর বলেন, “এটা হয়ত নির্বাচন কমিশনের গন্ডগোল সেই কারণে বাবার জায়গায় শ্বশুরের নাম উঠেছে। এসআইএর পর যখন খবর পাই দুজায়গায় নাম আছে সঙ্গে-সঙ্গে বিডিওর কাছে যাই।” তিনি আরও বলেন, “ছোট বেলায় আমার আসল বাবা কাকার কাছে আমায় তুলে দিয়েছিল দত্তক হিসাবে। কাকার সন্তান নেই বলে। তখন তো এত কাগজপত্র ছিল না। আমি এতদিন কাকাকেই বাবা হিসাবে জানতাম। আমার কাছে সমস্ত কিছু আছে।”

বর্তমান এস আই আর প্রক্রিয়ার ২১৩ নম্বর বুথের বিজেপির বিএলএ-২ আব্বাস বেগ তিনিও গোটা বিষয়টি নিয়ে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিজেপির নন্দীগ্রাম এক ব্লকের নন্দীগ্রাম মণ্ডলেক দুই সভাপতি সুদীপ দাস বলেন, “তৃণমূলের আসলে ভুয়ো ভোটার পুষিয়ে রাখছে।” অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নন্দীগ্রাম এক ব্লকের কোর কমিটির সদস্য বাপ্পাদিত্য গর্গের নিশানায় নির্বাচন কমিশন।