AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suvendu Adhikari: ‘মমতা কিছু বললে উত্তর দেব, লেভেল বুঝে কথা বলি’, কুণালকে পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী

Suvendu Adhikari in Nandigram: "আন্দোলন নিয়ে একটা কথা বলেছে? নো। শহিদদের নিয়ে একটা কথা বলেছে? না। জানেনা তো বলবে কী করে! এলাকার নাম বলতে পেরেছে? ভগবান এদের ক্ষমা করো।''

Suvendu Adhikari: 'মমতা কিছু বললে উত্তর দেব, লেভেল বুঝে কথা বলি', কুণালকে পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2021 | 5:52 PM
Share

নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রাম দিবস (Nandigram Diwas) পালন ঘিরে যুযুধান দুই পক্ষ। একদিকে তৃণমূলের কুণাল ঘোষ, তাপস রায়, অখিল গিরিরা। অন্যদিকরে শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সকালেই নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দুকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন কুণাল ঘোষ। ‘বেইমান’, ‘অকৃতজ্ঞ’, ‘জানোয়ার’ এবং ‘এক বাপের ব্যাটা’- এ রকম একাধিক বিশেষণে বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করেছেন তিনি। তার পাল্টা আবার নন্দীগ্রাম থেকে দিলেন শুভেন্দু। তাঁর কটাক্ষ, ‘মমতা কিছু বললে উত্তর দেব, লেভেল বুঝে কথা বলি। অন্যরা ছোটখাটো কর্মচারী।’

এদিন ফের রাজ্য পুলিশ র সমালোচনা করেন শুভেন্দু। বলেন, ”এরা আগে সিপিএমকে স্যালুট করত। এখন তৃণমূলকে স্যালুট করছে। আবার যেদি একটু ঘুরিয়ে দেব আমরা না… তাই ভরসা রাখুন”। এর পর তৃণমূল নেতাদের নিশানা করে শুভেন্দুর মন্তব্য, “নন্দীগ্রাম আন্দোলনে আমার কী ভূমিকা ছিল, আপনাদের কী ভূমিকা ছিল, এসব মায়ের কাছে মাসির গল্প করে লাভ নেই।” এর পর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেন। তাঁর পর আবার তৃণমূল নেতৃত্বের শহিদ দিবস পালনকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, “আমি খানিকটা পরিষ্কার করেছি। মায়েরা গোবর-টোবর দিয়ে পরিষ্কার করেছেন। কিছু চাকরকে পাঠিয়ে ছিলেন পিসি আর ভাইপো। গোটা কয়েক কর্মচারীকে পাঠিয়েছিলেন… কুৎসা, কুৎসা… কুৎসা।”

শুভেন্দুর দাবি, নন্দীগ্রামের আন্দোলন সম্ভব হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের জন্য। তাঁর কথায়, এরা ঢুকতে পারল কবে? লালকৃষ্ণ আদবানি, সঙ্গে সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিং, সুরেন্দর সিং আলুওয়ালিয়া এবং আরও অসংখ্য নেতা। সেদিন হেঁড়িয়া দিয়ে এরা অবরোধ তুলতে তুলতে সোনাচূড়া বাজারে পৌঁছেছিল। সেদিন তাদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে যে তিনজন ছিলেন, তাঁদের মধ্যে আমার পিতৃদেব ছিলেন (শিশির অধিকারী), আমি ছিলাম এবং দীনেশ ত্রিবেদী ছিলেন।” এর পর শুভেন্দুর কটাক্ষ, এখন নেপোয় মারে দই না? যখন চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশনের নামে নাটক করছিলেন।”

এরপর শুভেন্দু আরও বলেন, “আন্দোলন নিয়ে একটা কথা বলেছে? নো। শহিদদের নিয়ে একটা কথা বলেছে? না। জানেনা তো বলবে কী করে! এলাকার নাম বলতে পেরেছে? ভগবান এদের ক্ষমা করো।” তিনি যোগ করেন, “লেভেল বুঝে কথা বলে শুভেন্দু অধিকারী। মমতা কিছু বললে তাঁর উত্তর সঙ্গে সঙ্গে দেব। বাকি ছোটখাটো লোক… হাতি চলে বাজার…”

তৃণমূলকে নিশানা করে তাঁর আরও মন্তব্য, “এদের নেতৃত্ব ২-৪ টাকার। এখানে দাঁড়িয়েছিলেন। হেরেছেন। ঘর চলে গিয়েছেন। উত্তর আপনারাই দিয়ে দিয়েছেন।” উল্লেখ্য, এদিন কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ফের গণনা হলে নন্দীগ্রামে ২২ হাজার ভোটে জিতবেন মমতা। নন্দীগ্রামে উপনির্বাচন করে শুভেন্দুকে নন্দীগ্রাম থেকে বিদায় দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এদিকে শুভেন্দুর পাল্টা কটাক্ষ, “কোনও সনাতন বুথে নেই ওরা।”

আরও পড়ুন: Kunal Ghosh On Suvendu Adhikari: ‘নন্দীগ্রাম দিবসে’ শুভেন্দুকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ কুণালের, শুরু রাজনৈতিক চর্চা