বিলেতে পড়েও দেশের টানেই ঘরে ফেরা, UPSCতে ৯৪ র‌্যাঙ্ক মেদিনীপুরের ইন্দ্রাশিসের

UPSC Civil Services Final Result: নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে মাধ্যমিক পাশ করে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন ইন্দ্রাশিস। ২০১১ সালে মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ৩৫তম স্থান অধিকার করেন তিনি।

বিলেতে পড়েও দেশের টানেই ঘরে ফেরা, UPSCতে ৯৪ র‌্যাঙ্ক মেদিনীপুরের ইন্দ্রাশিসের
মা বাবার সঙ্গে ইন্দ্রাশিস দত্ত। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 12:53 PM

মেদিনীপুর: ইউপিএসসিতে (UPSC) বাংলার ছেলের সাফল্য। মেদিনীপুরের ইন্দ্রাশিস দত্তের র‌্যাঙ্ক ৯৪। ইউপিএসসির ফল প্রকাশ হয়েছে সোমবার। প্রথম ১০০’র মধ্যে বাংলার এই কৃতীর নাম থাকায় উচ্ছ্বসিত এলাকার লোকজন। খুশির হাওয়া দত্ত পরিবারে। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে মাধ্যমিক পাশ করে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন ইন্দ্রাশিস। ২০১১ সালে মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ৩৫তম স্থান অধিকার করেন তিনি। এরপরই ভর্তি হন কলকাতা মেডিকেল কলেজে। তবে মেডিকেল নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেও বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর টান প্রথম থেকেই। এরপরই মেডিকেল ছেড়ে বেঙ্গালুরুর আইআইএসসিতে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন ইন্দ্রাশিস। সেখান থেকে পড়তে চলে যান ইজরায়েলে। এরপরই ঠিক করেন ইউপিএসসিতে বসবেন। ২০১৮ সালে ভারতে ফিরে আসেন। শুরু হয় প্রস্তুতি।

ইন্দ্রাশিস দত্ত জানান, “আমি আরেকটু ভাল র‌্যাঙ্ক আশা করেছিলাম। ভেবেছিলাম ৫০-এর মধ্যে র‌্যাঙ্ক আসবে। কিন্তু পরীক্ষাটা খুবই কঠিন। কী হবে আগাম বোঝাও যায় না। যা র‌্যাঙ্ক পেয়েছি তাতেই সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতে পরীক্ষা দিলে হয়ত আরেকটু ভাল র‌্যাঙ্ক হবে। আমার লক্ষ্য আইএএস হওয়া। এই র‌্যাঙ্কে আইএএস হবে কি না তা সার্ভিস অ্যালোকেশনের পরই জানা যাবে। যদি না হয় সেক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস বা আইপিএস (IPS) বা ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস বা আইআরএস (IRS) হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে আবার পরীক্ষা দিয়ে আইএএস হওয়ার চেষ্টা করব। কারণ অন্যান্য সিভিল সার্ভিসের তুলনায় এটায় কাজের সুযোগটা অনেক বেশি।”

ইজরায়েলে পড়াশোনার পর বিদেশে অনায়াসে নিজের সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু দেশে থেকে দেশের জন্যই কাজ করতে চান ইন্দ্রাশিস। তাঁর পর্যবেক্ষণ, বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ বা বিদেশের কেরিয়ার ছেড়ে এসে সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসলে এই ধরনের কাজের মাধ্যমে আমাদের সমাজে পরিবর্তন আনাটা অনেক সহজ। বিশেষ করে তৃণমূল স্তরের মানুষের জন্য তা খুবই বরপ্রদায়ী। ছেলের সাফল্যে দারুণ খুশি ইন্দ্রাশিসের বাবা। তিনি চেয়েছিলেন, ছেলে সিভিল সার্ভেন্ট হোক। ছেলের মেধা মানুষের কাজে লাগুক।