কলকাতা: ত্রিপল চুরির অভিযোগে এফআইআর হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগের তদন্তের জন্যই এ বার শুভেন্দুর দেহরক্ষীদের নোটিস দিতে গেল রাজ্য পুলিশ। কিন্তু সেই নোটিস গ্রহণ করলেন না শুভেন্দুর দেহরক্ষীরা। আজ, সেই নোটিস দিতে গেলে দেহরক্ষীরা সাফ জানান, তাঁরা কেন্দ্রের আধিকারিক। রাজ্য পুলিশের কোনও নোটিস তাঁরা নেবেন না।
রাজ্য পুলিশের দাবি, ত্রিপল চুরির ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দুর দেহরক্ষী তথা সিআইএসএফ জওয়ানেরা। আর সেই জওয়ানদের নোটিস দিতে গেলে তাঁরা বলেন, কেন্দ্র তাঁদের শুভেন্দুর নিরাপত্তায় মোতায়েন করেছে, তাই রাজ্য পুলিশ এ ভাবে তাঁদের তলব করতে পারে না। এই ঘটনার পর রাজ্য পুলিশ সিআইএসএফের হেডকোয়ার্টারে নোটিস পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছে। দেহরক্ষীরা ত্রিপল চুরির বিষয়ে কী জানেন, সে ব্যাপারে জবানবন্দি নেওয়ার জন্যই এই নোটিস পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর কাঁথি পুরসভার গোডাউন থেকে ত্রাণের ত্রিপল লুঠের অভিযোগ উঠেছে কাঁথি পুরসভা প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কয়েক দিন আগে দুপুর একটা নাগাদ সেন্ট্রাল ফোর্সের উপস্থিতিতে কাঁথি পুরসভার পুরনো বিল্ডিং ডরমেটরি মাঠ সংলগ্ন পুরসভার গোডাউন থেকে ত্রিপল বার করতে দেখেন পুরসভায় কাজ করতে আসা স্থানীয় এক যুবক। এর পরেই কাঁথি পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মাইতিকে খবর দেন ওই যুবক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কাঁথি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য-সহ পুর প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতি। শুভেন্দু অধিকারী প্রভাব খাটিয়ে এই ধরনের ঘটনা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।