পূর্ব মেদিনীপুর: মহারাষ্ট্রে টলমল অবস্থা দলের। আর এরই মধ্যে বাংলায় খাতা খুলে ফেলল শরদ পাওয়ারের এনসিপি। গ্রাম বাংলা দখলের লড়াইয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসন জিতে নিয়েছে এনসিপি। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতে তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তারা। এর মধ্যে একটি আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জয় পেয়েছে শরদ পাওয়ারের দল। বঙ্গ রাজনীতির প্রেক্ষিতে এনসিপির এই জয় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে শরদ পাওয়ার ও তাঁর দলের বেশ সুসম্পর্ক রয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টায় শরদ পাওয়ারের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। কিন্তু সেই শরদ পাওয়ারের দলের হঠাৎ বাংলার রাজনীতিতে চলে আসা রাজ্য রাজনীতির উপর কতটা প্রভাব ফেলে আগামী দিনে, সেই দিকেই নজর রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের। পঞ্চায়েত ভোটের মতো একটি জায়গা, যেখানে একেবারে স্থানীয় স্তরের দাবি-দাওয়াগুলি অনেক বেশি গুরুত্ব পায়, সেখানে এনসিপি কেন প্রার্থী দিল, তা নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আর এমন এক সময়ে বাংলার ভোট ময়দানে জয় এল তাদের, যখন মহারাষ্ট্রে এক টালমাটাল অবস্থা। শরদ পাওয়ার নাকি অজিত পাওয়ার, দলের অন্দরে কার প্রভাব প্রতিপত্তি বেশি, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলছে। সেই সব নিয়ে মহারাষ্ট্রে তথা জাতীয় রাজনীতিতেও বেশ অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে এনসিপি। আর এমন এক সময়েই পূর্ব মেদিনীপুর থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসনে জয় পেল শরদ পাওয়ারের দল।
উল্লেখ্য, এর আগে মমতার অপর এক ‘বন্ধু’ অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টিও বাংলার মাটিতে পা রেখেছে। নীচুতলায় সংগঠনও তৈরি হয়েছে অল্প বিস্তর। এখন দেখার এনসিপি কতটা সংগঠন বাড়াতে পারে বাংলার রাজনীতিতে।