অখিল-সৌমেন ছাড়া অধিকারী গড়ে কে হবেন তৃণমূল জেলা সভাপতি? জল্পনা তুঙ্গে

কে হবেন জেলা সভাপতি তাই নিয়ে আলোচনা ও জল্পনা তুঙ্গে। আর সেই নাম অধিকারীদের কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে, সেটাও একটা বড় ব্যাপার বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

অখিল-সৌমেন ছাড়া অধিকারী গড়ে কে হবেন তৃণমূল জেলা সভাপতি? জল্পনা তুঙ্গে
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 06, 2021 | 11:58 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: জেলার কোনো পদে থাকছেন না রাজ্যের দুই মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও অখিল গিরি। বদল হতে চলেছে জেলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশ মতো ‘ওয়ানম্যান ওয়ান পোস্ট’ নীতি অবলম্বনের জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেশকিছু পদে রদবদল হতে চলেছে। এখন কে হবেন জেলা সভাপতি তাই নিয়ে আলোচনা ও জল্পনা তুঙ্গে। আর সেই নাম অধিকারীদের কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে, সেটাও একটা বড় ব্যাপার বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু কারা রয়েছে জেলা সভাপতি হওয়ার দৌড়ে?

মন্ত্রিত্ব সামলানোর পাশাপাশি জেলা সভাপতি পদে কাজ করছিলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। অন্যদিকে মৎস্য মন্ত্রী থাকার ফলে জেলার অন্য কোনও পদেই থাকতে পারবেন না অখিল গিরি। ফলে কে হতে চলেছেন পরবর্তী সভাপতি এবং কোন কোন পদে ছাড়তে হচ্ছে কাকে, তাই নিয়েই শোরগোল শুরু হয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে।

রবিবার এক বৈঠক শেষে মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ না পাওয়া পযর্ন্ত এখনই সভাপতির নাম প্রকাশ করছেন না তাঁরা। তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধ ভবনে দুই মন্ত্রী-সহ জেলা, পুরসভা এবং ব্লক স্তরের দলীয় আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে স্পষ্টতই রদবদলের ইঙ্গিত দিয়েছেন অখিল গিরি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেচমন্ত্রী তথা জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রও। এখনও পর্যন্ত তিন জনের নাম ভেসে আসছে, যাঁরা রয়েছেন সভাপতি হওয়ার দৌড়ে। বিপ্লব রায় চৌধুরী, অমিয় ভট্টাচার্য ও তরুণ জানা। যদিও শেষ সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বলে জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: দিলীপকে ঘিরে বিক্ষোভের ছক বিজেপিরই? অডিয়ো ক্লিপ ঘিরে তোলপাড় 

বিধানসভা ভোটে বেশকিছু ব্লকে পিছিয়ে থাকার কারণ তলব করা হয় এদিনের বৈঠকে। জেলার দুই প্রবীণ নেতা সৌমেন মহাপাত্র ও অখিল গিরি জেলার কোনও পদে না থাকায় পূর্ব মেদিনীপুর নতুন সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে চাপানউতোর চরমে। অধিকারী গড় পূর্ব মেদিনীপুরে যে দায়িত্ব একসময় সামলেছেন শিশির অধিকারী, তাঁদের বিরুদ্ধে এখন জোরাল ফাইট দিতে পারেন এমন নেতা কে? তা নিয়ে প্রশ্ন জেলা তৃণমূলের অন্দরেও। এখন সবাই তাকিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর সিদ্ধান্তের দিকে।