AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দিলীপকে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র বলে তোপ! দলবিরোধী কাজে তিন নেতাকে সাসপেন্ড বিজেপির

BJP: "এই দলে (বিজেপি) পুরনো কর্মীদের কোনও মর্যাদা নেই। তাই গত বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলাম।''

দিলীপকে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র বলে তোপ! দলবিরোধী কাজে তিন নেতাকে সাসপেন্ড বিজেপির
প্রতীকী চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2021 | 11:27 PM
Share

পুরুলিয়া: দল বিরোধী কাজের জন্য তিন নেতাকে সাসপেন্ড করল পুরুলিয়া (Purulia) জেলা বিজেপি (BJP)। সোমবার এই মর্মে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব একটি চিঠিও পোস্ট করেছে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে। কে কে রয়েছেন এই বহিষ্কৃতের তালিকায়? আছেন বিজেপির এসসি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক নেতা স্বপন বাউরি। এছাড়া কাশিপুর বিধানসভার আইনি সেলের কনভেনার শুভদীপ প্রামাণিক এবং বলরামপুর বিধানসভার মণ্ডল সভাপতি অশ্বিনী সিং সর্দারকে বহিষ্কার করেছে জেলা বিজেপি।

কেন এঁদের সাসপেন্ড করা হল? বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা কাশিপুরের বিধায়কের কথায়, স্বপনবাবু বিধানসভা নির্বাচনে দলের নির্দেশ অমান্য করে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শুভদীপ দীর্ঘদিন যাবৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় দল ও দলীয় নেতৃত্ব সম্পর্কে কুরুচিকর অপমানজনক মন্তব্য করে আসছেন। এছাড়া অশ্বিনী সিং সর্দারও বলরামপুর বিধানসভা থেকে দলের নির্দেশ অমান্য করে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এই সব কারণেই তাঁদের বহিষ্কার করল দল।

এদিকে সাসপেন্ডের পরেই দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন এই তিন নেতা। স্বপন বাউরি জানান, “প্রকৃত কর্মীদের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের বিধানসভায় টিকিট দেওয়া হয়েছে। এখন দলে কিছু শয়তান ঢুকেছে, যারা টাকার বিনিময়ে টিকিট নিলাম করেছে।” শুধু তাই নয়, দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

আরেক নেতা শুভদীপ প্রামাণিকের দাবি, তিনি কোনও দল বিরোধী মন্তব্য করেননি সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাসপেন্ড হওয়া নেতা অশ্বিনী সিং সর্দারের অভিযোগও মোটামুটি এক। তাঁর দাবি, “এই দলে (বিজেপি) পুরনো কর্মীদের কোনও মর্যাদা নেই। তাই গত বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলাম।” পাশাপাশি তিনি দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন।

এদিকে তিন বিজেপি নেতার সাসপেন্ড নিয়ে কটাক্ষের সুযোগ ছাড়েনি শাসক দল। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক হাজারী বাউরির খোঁচা, “বিজেপি দলের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে এসেছে। এদের দলের মধ্যে কোন আইন-শৃঙ্খলা যে নেই, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।” আরও পড়ুন: ‘দাদা… ,’ মোটর বাইক থামিয়ে ফিরে তাকাতেই তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন! উত্তপ্ত মঙ্গলকোট