Jhalda Councillor Murder: দাদার সঙ্গে ৫ লক্ষ টাকার বাজি লড়ে জিতেওছিলেন, তারপরই… ঝালদার কাউন্সিলর খুনে নয়া তথ্য
Councillor Murder: এক ব্যবসায়ীর কাছে দুজনেই পাঁচ লক্ষ টাকা করে জমা দেন। বলাই বাহুল্য যে তপন কান্দু জয়ী হয়ে যাওয়ায় পাঁচ লক্ষ টাকা সরাসরি ক্ষতির শিকার হয় তাঁর দাদা নরেন।
পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর হত্যা নিয়ে সামনে এসেছে এক বিস্ফোরক তথ্য। তপন কান্দুর পরিচিত ও বন্ধু বান্ধবদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তাঁর নিজের দাদা নরেন কান্দুর সঙ্গে নির্বাচনের আগে বাজি লড়েছিলেন তপন। পৌরসভা নির্বাচনের পর গণনার ঠিক আগে পাঁচ লক্ষ টাকারে বাজি ধরেন দুজন। এক ব্যবসায়ীর কাছে দুজনেই পাঁচ লক্ষ টাকা করে জমা দেন। বলাই বাহুল্য যে তপন কান্দু জয়ী হয়ে যাওয়ায় পাঁচ লক্ষ টাকা সরাসরি ক্ষতির শিকার হয় তাঁর দাদা নরেন। এ নিয়েই শত্রুতা আরও বাড়ে দু’জনের। উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ২ নং ওয়ার্ডে নিহত তপন কান্দুর বিরুদ্ধে সরাসরি তৃণমূলের হয়ে লড়াই করে তার ভাইপো অর্থাৎ নরেন কান্দুর ছেলে দীপক কান্দু। তিনি পরাজিত হন। আপাতত তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে তাঁর। এর সঙ্গে খুনের কতটা সম্পর্ক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে কোন মন্তব্য কোন পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় খুনির স্কেচ প্রকাশ করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে, খুনিকে ধরে দিতে পারলে মোটা টাকার নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। তবে তাঁর নাম পরিচয় লুকিয়ে রাখা হবে বলে জানা দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে এই স্কেচ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগান। পুলিশের তরফ থেকে টাকার অঙ্ক আর সরাসরি বলা হচ্ছে না। পুলিশ মনে করছে, কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে আততায়ীরা সুপারি কিলার। আততায়ীরা এসেছিল ভিন রাজ্য থেকে। তাদের মোটা টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার তদন্তে জেলা পুলিশের সঙ্গে সিআইডি গোয়েন্দারাও রয়েছেন। পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ ও কাউন্সিলরের সঙ্গে ঘটনার দিন যাঁরা ছিলেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীদের অনুমান, আততায়ীদের সুপারি দিয়ে নিয়োগ করা হয়েছিল। যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি ঝাড়খণ্ড লাগোয়া। সেখান থেকেই খুনিকে ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
ঝালদার কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। দীপক কান্দু নামে কাউন্সিরের ভাইপোকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরভোটে ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন দীপক। তপন কান্দুর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন দীপক। অর্থাৎ পুরভোটে ছিল কাকা-ভাইপোর লড়াই হয়। কেবল রাজনৈতিক লড়াই নয়, দুই পরিবারের মধ্যে সমস্যাও ছিল দীর্ঘদিনের। স্থানীয় সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে।
পুরভোটের সময় থেকেই তা আরও চরমে ওঠে। পারিবারিক বিবাদের বিষয়টির ওপর পুলিশ প্রথম থেকেই নজর দিচ্ছিল। খুনের ঘটনার পর তদন্তে নেমে একেবারে প্রথমেই দীপক ও তাঁর বাবা নরেনকে আটক করেছিল পুলিশ। তাঁদের টানা জেরা করা হয়। বেশ কয়েকটি বিষয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তারপরই ফাঁস হতে থাকে একের পর এক রহস্য। এখনও পর্যন্ত এই এক জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে শার্প শুটারের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তাকে কে নিয়োগ করেছিল, এরপর সেই তথ্য হাতে আসবে তাঁদের।
আরও পড়ুন: ফোন করে ডেকেছিলেন প্রেমিকা, উঠোনেই বাড়ির ছেলেকে এমন অবস্থায় দেখবেন কল্পনাও করতে পারেননি বাবা-মা!