ঝালদা: ঝালদার কাউন্সিলার তপন কান্দুর হত্যার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সত্যবান প্রামাণিকের (৪৭) মৃত্যুর ঘটনায় আবার উঠে এল খুনের তত্ত্ব। রবিবার পুরুলিয়া সংশোধনাগারে থাকাকালীন মৃত্যু হয় সত্যবানের। তাঁর পরিবারের দাবি জেলের মধ্যেই কৌশলে খুন করা হয়েছে অভিযুক্তকে। এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে। রবিবার ভোরবেলা সত্যবান জেলের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পুরুলিয়া মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বাড়ি ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দবাজার এলাকায়। তপন কান্দুর হত্যার ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তিনি পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি ছিলেন।
গত বছর ১৩ মার্চ কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দুকে হত্যা করা হয়। বাইকে করে এসে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই গুরুতর জখম হয়ে পড়েন তপন কান্দু। ঝাড়খণ্ডের রাঁচীর একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রথমে রাজ্য সরকারের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) তদন্ত করলেও পরবর্তী কালে নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর আবেদনের ভিত্তিতে তদন্তের ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। খুনের ঘটনায় সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত বছর ১২ এপ্রিল সত্যবান প্রামাণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর থেকে তিনি পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারেই ছিলেন। ইতিমধ্যেই এই মামলার ফাইনাল চার্জশিট আদালতে জমা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই খুনের ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে চার্জশিট নাম ছিলে সত্যবানের।
আদালতে রায় ঘোষণার আগেই এ ভাবে সত্যবানের মৃত্যু নিয়ে এবার প্রশ্ন তোলা হল তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে। সত্যবানের মৃতের শ্যালক রাজেশ শর্মা, নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা এবং জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোকে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন পূর্ণিমা। তিনি বলেছেন, “এটি ভিত্তিহীন অভিযোগ। তদন্তকে অন্য দিকে চালিত করার উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। সিবিআই তদন্ত করে গ্রেফতার করেছে সত্যবানকে। তাঁকে রাখাও হয়েছিল রাজ্য সরকারের সংশোধনাগারে। আমরা সেখানে কী করতে পারি? খুনোখুনির রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না।“