পুরুলিয়া: বাড়ির সামনে বড় একটি। আর সেখানেই উদভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করছেন এক মহিলা। তাঁর চোখে-মুখে রীতিমত আতঙ্কের ছাপ। অনেকক্ষণ ধরেই তাঁকে অমন ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখতে সন্দেহ হয় মহিলার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের। বিষয়টি আরও দানা বাধে তাঁদের মনে কারণ বিগত কয়েকদিন ধরেই ওই মহিলার স্বামী বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজার পরও পাওয়া যায়নি তাঁর সন্ধান। এই অবস্থায় সন্দহের তালিকা থেকে কেউই বাদ পড়েননি। এ দিকে, নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রীকে উদভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করতে দেখে খানিকটা সন্দেহর বশে পুলিশকে খবর দেয় পরিবারের লোকজন। আর তারপরই ফাঁস রহস্য।
পুরুলিয়ার জয়পুরের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম জুড়ন মাহাতো (৪৫)। গত সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে প্রথম থেকে পুলিশকে জানিয়ে আসছিল জুড়ানের পরিবার। তবে ঘটনার খোলসা পরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, জুড়ানের স্ত্রী উত্তরা মাহাত শনিবার বাড়ির পাশেই একটি গর্তের কাছে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। সেই সময় পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ফোন করে জানান। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহটি গর্ত থেকে উদ্ধার করে। তবে পচা গন্ধের জেরে এক মহিলা পুলিশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে জয়পুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, জুড়ানকে তাঁর স্ত্রী খুন করে দেহ লোপাটের জন্য গর্ত করে ফেলে দিয়েছে। ওই মহিলার সঙ্গে ফোনে কথা বলা নিয়ে অশান্তি করতেন তাঁর স্বামী। সেই রাগেই সে স্বামীকে খুন করার চক্রান্ত করেন তিনি। তবে ওই মহিলা একা এই কাজ করেননি বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফলত, ওই মহিলার সঙ্গে আর কারা জড়িত ছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।