
পুরুলিয়া: পুরুলিয়ায় ঢোকার মুখে বাধা আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে। সূত্রের খবর, পুরুলিয়ার অঘোরপুরে কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। এদিন সেখানেই যাচ্ছিলেন তিনি। অঘোরপুরে পৌঁছানোর আগেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন নওশাদ। পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ তর্কাতর্কিও করতে দেখা যায় তাঁকে। পুলিশের দাবি, এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সে কারণেই তাঁরা নওশাদকে ওই এলাকায় যেতে নিষেধ করছেন। যদিও নওশাদের দাবি, এভাবে পুলিশ তাঁকে বাধা দিতে পারে না। তাঁর অধিকার রয়েছে যাওয়ার।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে অঘোরপুর। এখানে শিল্পতালুক তৈরিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে। বেশ কয়েকজন মহিলাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। এদিন সেই সমস্ত মহিলাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই অঘোরপুর আসছিলেন নওশাদ। কিন্তু, পুলিশের দাবি এখন এলাকার যে অবস্থা রয়েছে সেখানে নওশাদ গেলে নতুন করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সে কারণেই এখানে তাঁর গাড়ি ঢোকার আগে ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় পথ। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
অন্যদিকে নওশাদ সিদ্দিকী সাফ জানিয়েছেন কোনওভাবেই পিছু হটছেন না তিনি। পথ আটকানোর কারণ দেখিয়ে যতক্ষণ না তাঁকে লিখিতভাবে কিছু জানানো হচ্ছে তিনি পিছোবেন না বলে জানাচ্ছেন। নওশাদ বলেন, একটা কনস্টেবলের সঙ্গে কথা বলে তো এর সমাধান হবে না। অনেক কনস্টেবল রয়েছেন, “ব়্যাফের ভাইয়েরা রয়েছে, এসআই রয়েছে। আমাকে পথের মধ্যে আটকে দিয়েছে। তাই আমি জানতে চেয়েছি কেন আমাকে আটকানো হল। ঝালদার এসডিপিও সাহেব হয়তো মনে করছেন পুরুলিয়া জেলার বিরোধি পাঁচটা বিধায়কের মতো নওশাদ সিদ্দিকীকেও ধমকে-চমকে বুঝিয়ে দেবেন!”
অন্যদিকে নওশাদ যে ট্রেনে আসছিলেন তাতে ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিন সাঁতরাগাছি পুরুলিয়া সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসে নিজের সঙ্গে ও নিরাপত্তী রক্ষীদের নিয়ে উঠেছিলেন। এই ট্রেনেই ইট ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ট্রেনের ডি-১ কোচে ছোড়া হয় ইট। সূত্রের খবর, নওশাদ ছিলেন সি-১ কোচে।