ঝালদা: হাওড়া-রাঁচি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস খুব শীঘ্রই চালু হবে। পুরুলিয়া জেলার উপর দিয়েই যাবে ভারতীয় রেলের উচ্চগতির এই ট্রেন। পুরুলিয়া শহরে এই ট্রেনের স্টপেজ রয়েছে। এ ছাড়াও সে জেলার কোটশিলায় দাঁড়াবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই স্টপেজ নিয়েই এখন রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে পুরুলিয়া জেলায়। কেন ঝালদায় এই ট্রেনের স্টপেজ না দিয়ে কোটশিলায় স্টপেজ দেওয়া হল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কারণ ঝালদা অনেক বড় জনপদ। পুরুলিয়া জেলার ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্রে। পক্ষান্তরে কোটশিলার জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এই ঘটনা নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তৃণমূল ও বিজেপি।
তৃণমূলের অভিযোগ, ঝালদায় তৃণমূলের বিধায়ক থাকায় সেখানে স্টপেজ দেওয়া হয়নি বন্দে ভারতের। কিন্তু কোটশিলা জয়পুর বিধানসভার অধীনে। সেই বিধানসভা বিজেপির দখলে রয়েছে। সে জন্য তুলনামূলক ভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ শহরে স্টপেজ দেওয়া হয়েছে বন্দে ভারতের। এই নিয়ে সুর চড়িয়ে তৃণমূল। ঝালদা শহর তৃণমূল সভাপতি চিরঞ্জীব চন্দ্র এ বিষয়ে বলেছেন, “ঝালদাতে বঞ্চিত করা হচ্ছে। পুরুলিয়ার পর সব থেকে বেশি রেলের আয় হয় ঝালদায়। এখানে ট্রেনের প্রয়োজন থাকলেও বন্দে ভারত দাঁড়াবে না। যেহেতু বিধানসভা নির্বাচনে এখানে তৃণমূল জয়ী হয়েছে, তাই চক্রান্ত করে ঝালদাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ঝালদার সাংসদ বদলা নিচ্ছেন ঝালদার মানুষের উপর।”
তবে পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে বলেছেন, “বন্দে ভারতের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনের স্টপেজ খুব বেশি জায়গায় দেওয়া সম্ভব নয়। এর মধ্যেই দুটি স্টপেজ এই জেলা পেয়েছে। ঝালদার দুই পাশে কোটশিলা একটি রেল জংশন। এখানে এসে ট্রেন ধরা সহজ। এছাড়াও তুলিনের পাশে ঝাড়খণ্ডের মুরিতেও স্টপেজ থাকায় এলাকার মানুষের সমস্যা হবে না।”