পুরুলিয়া: আদিবাসী তরুণীকে নিগ্রহের অভিযোগ। ক্লোজ করা হল পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার এক কর্তাকে। গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। এই নিয়ে তরজায় নেমেছে বিজেপি। মঙ্গলবার ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, গত রবিবার তরুণীর বাড়িতে গিয়ে অত্যাচার করেন কোটশিলা থানার এক কর্তা। মারধর করা হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, বাড়িতে থাকা চল্লিশ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয় পুলিশ। অপরদিকে, নিগৃহীতার দাবি, বাড়িতে মদ রয়েছে সেই সন্দেহে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এরপরই বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযোগ, যেহেতু তাঁকে পুলিশ মেরেছে সেই কারণে কোনও হাসপাতাল তাঁকে ভর্তিও নিতে চায়নি। অভিযোগকারিনী আরও জানান, “রাত্রি সাড়ে দশটা নাগাদ কোটশিলা থানার এক কর্তা এবং আরও দু’জন বাড়িতে ঢোকেন। ঘরে মদ রয়েছে এই সন্দেহে আমায় মারধর করেছে। এমনকী ঘরের মধ্যে রাখা টাকা নিয়ে নিয়েছে। আমি বিচার চাই।” অপরদিকে, অভিযোগপত্রে তরুণী উল্লেখ করছেন, তাঁর সঙ্গে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি লিখেছেন থানার বড়বাবু তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে বলেছেন, ‘নিচু জাতির মেয়ে, তোরা অনেক বেড়ে গিয়েছিস। এই ভাবে তোদের জব্দ করব। থানায় জানাতে গেলে আবার এসে এই ভাবেই মারব।’
এরপরই মঙ্গলবার দুপুরে শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। তারপর ক্লোজ করা হয় ওসিকে। পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার বিষয়ে জানার পরই আমি আমার অ্যাডিশনাল এসপি (হেডকোয়ার্টার)-কে পাঠাই ব্যাপারটার তদন্ত করার জন্য। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ পেতেই আমরা পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ করি। লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” যদিও, এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।