Excise Department: ঘর থেকে তুলে নিয়ে গেল ছেলেটাকে! পুলিশ ফোন করে বলছে ‘মরে গেছে’…

Purulia: অবৈধ মদ ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই গ্রামেরই এক যুবক শিকারী মুড়াকে।

Excise Department: ঘর থেকে তুলে নিয়ে গেল ছেলেটাকে! পুলিশ ফোন করে বলছে 'মরে গেছে'...
শিকারী মুড়ার ভাই লাল্টু মুড়া। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 21, 2022 | 8:04 PM

পুরুলিয়া: এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের আঙুল আবগারি দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে সোমবার পুরুলিয়ার ঝালদা আবগারি দফতরের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান নিহত যুবকের পরিবারের লোকজন। তাঁদের দাবি, ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে বাড়ি থেকে ওই যুবককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই পিটিয়ে মারা হয়। যদিও আবগারি দফতরের দাবি, এসব অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। কাউকে মারধরের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাঘমুণ্ডি থানার রবিডি গ্রামে হানা দেয় ঝালদা আবগারি দফতরের আধিকারিকরা। অবৈধ মদ ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই গ্রামেরই এক যুবক শিকারী মুড়াকে। তাঁর বয়স ২৭ বছর। শিকারীর পরিবারের অভিযোগ, এদিন রাতে আচমকাই তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এরপরই ২০ তারিখ বাঘমুণ্ডি থানা থেকে খবর আসে শিকারীর মৃত্যু হয়েছে।

শিকারীর ভাই লাল্টু মুড়া বলেন, “আমার দাদা একটু নেশা পান করে। আবগারি থেকে এসে ওকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। এর কিছুদিন পরই এসে বলছে দাদা মারা গিয়েছে। ওরা মারধর করেই দাদাকে মেরেছে। আমার দাদা নেশা করত ঠিকই। কিন্তু ও কোনওদিনই মদ বিক্রি করেনি। যারা মারধর করে আমাদের দাদাকে মেরে ফেলল তাদের যথাযথ শাস্তি চাই।”

এদিকে এ প্রসঙ্গে ঝালদা আবগারি দফতরের ওসি মইদুল ইসলাম বলেন, “মেরে ফেলা হয়েছে শুনেই তো হাসি পাচ্ছে। কারণ আমাদের এখান থেকে কাউকে অত্যাচার করা তো দূরের কথা একটা থাপ্পড় পর্যন্ত মারা হয় না। মেরে ফেলা তো কল্পনাতীত। ১৬ তারিখ একজনকে আমরা ধরেছি রবিডি গ্রাম থেকে। ওখানেই প্রায় সাড়ে ৮টা পৌনে ৯টা বেজে গিয়েছিল। সেইদিনই আমরা আদালতে পাঠিয়ে দিই। মোটামুটি সাড়ে ১০টার মধ্যে অভিযুক্তকে আমাদের আদালতে তুলতে হয়। সেদিন আমি নিজে আদালতে ফোন করে বলি, একটু অপেক্ষা করবেন। আমার ১০-১৫ মিনিট দেরী হতে পারে। কারণ রবিডি থেকে ঝালদা, ঝালদা থেকে পুরুলিয়া অনেকটাই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এরপর এই অভিযোগের কথা শুনে আমরা অবাক। এসব একেবারেই ভিত্তিহীন অভিযোগ।”

একইসঙ্গে আবগারি দফতরের ওসি মইদুল ইসলাম বলেন, সবরকম মেডিকেল টেস্ট করিয়ে আদালতে তোলা হয়েছিল শিকারীকে। যদি তাঁর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা থাকত, তা হলে আদালতে তোলা যেত না। অন্য কোনও কারণে এই মৃত্যু বলে মনে করছে তাঁরা। মৃত্যুর সঠিক তথ্য ময়না তদন্তের রিপোর্টে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। শিকারী মুড়ার কাছ থেকে ২০ লিটার অবৈধ মদ উদ্ধার হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে আবগারি দফতর সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বাংলা ঠিকভাবে বলতে না পারায় ছোটদের দোষ নেই! অভিভাবক-অভিভাবিকাদের দায়িত্ব মনে করালেন মুখ্যমন্ত্রী