কলকাতা: একসময় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর ঘুঘুর বাসা। সরকারি জমি বেদখল হওয়া নিয়েও বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এবার মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার লিস্টে তুলে দেওয়ার অভিযোগ শুনে বেজায় ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই মনোভাবের পরই কড়া পদক্ষেপ করল প্রশাসন। ওল্ড মালদহের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের বিরুদ্ধে হল FIR। কিন্তু, কেন এই পদক্ষেপ?
ওল্ড মালদহের মঙ্গলবাড়ির বাসিন্দা ফারুক হোসেনের অভিযোগ, তাঁদের জমির মিউটেশন করে অন্যদের পাইয়ে দিতে তৎপর হয়ে ওঠে একটি চক্র। এই নিয়ে জেলাশাসক ও জেলা ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের কাছে নালিশ জানান। কিন্তু তার মধ্যেই মিউটেশন মামলা শুরু হয়ে যায়। গুরুতর অভিযোগটি হল, শুনানির চার দিন আগেই মিউটেশন মামলার রায় বেরিয়ে যায়, যা দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারাও।
অভিযোগ, ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক বিপ্লব মণ্ডলের মদতে জমির নথি জালিয়াতি করে মালিকানা বদলে দেওয়া হয়। অভিযোগ দফতরে বসেই ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাব করেন ওই আধিকারিক। বিএলএলআরও-র বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মালদহে জমি জালিয়াতি নিয়ে কাঠগড়ায় খোদ ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক। আর পাশের জেলা মুর্শিদাবাদে জমির রেকর্ডকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। বিএলএলআরও অফিসে বিক্ষোভ।
এক ব্যক্তির জমি অন্যর নামে করে দেওয়ায় অভিযোগে বেলডাঙার শক্তিপুরেও গোলমাল। অভিযোগ ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রেকর্ড বদলে দেন বিএলএলআরও। এই অভিযোগে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে। মৃতদের নাম ভোটার লিস্টে ঢুকিয়ে দেওয়া! পাশাপাশি জমি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ। এই নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তবে ঘুঘুর বাসা ভাঙবে কি?