বাঁকুড়া: মইদুল কোনও দল করতেন না। বামেদের নবান্ন অভিযানে যে তিনি যাচ্ছেন এ কথা পরিবারের কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করল গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাম ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযানে আহত হয়ে পরে প্রাণ হারানো মইদুল ইসলাম মিদ্যার বোন।
বাম যুব কর্মীর মৃত্যু ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বাম-ডান দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকেই এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছে। সিপিএম, কংগ্রেসের দাবি, পুলিশই নৃশংসভাবে খুন করেছে ৩১ বছর বয়সী ডিওয়াইএফআই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যাকে। এই প্রেক্ষিতে তাঁর পরিবারের এক সদস্যের দাবি ভিন্ন। মৃত মহিদুলের বোনের কথায়, ‘কেউ জানতাম না যে দাদা নবান্ন অভিযানে অংশ নিতে যাচ্ছে।’ তাঁর আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘দাদা (মইদুল) কোনও পার্টি করত না। তাঁকে বৃহস্পতিবার কয়েকজন ভুলিয়ে-ভালিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।’ মৃত মইদুলের বোনের আরও দাবি, যে চারজন গত বৃহস্পতিবার তাঁদের বাড়িতে আসেন তাঁরা কেউ এলাকার বাসিন্দা নন। পূর্ব পরিচিতও নন।
আরও পড়ুন: মইদুলের মৃত্যুতে ‘প্ররোচনা’র গন্ধ তৃণমূলে, অধীরের তোপ ‘জল্লাদের সরকার’
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাম ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযানে আহত হন মইদুল। ডিওয়াইএফআইয়ের তরফে দাবি, তাঁর মাথায় পুলিশের লাঠির আঘাত লাগে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শেষ রক্ষা করা যায়নি। সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর। মইদুলের কিডনি ফেলিওর হয়। এ দিন সকালে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাঁকুড়া কোতুলপুরের এই যুবক। ভোটের মুখে মইদুলের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বামেরা নিশানা করেছে মমতার সরকারকে। তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেস এমনকী বিজেপিও মমতার সরকারকে একহাত নিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে মইদুলের শোকার্ত পরিবারের দাবি, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাঁকে ‘ভুলিয়ে-ভালিয়ে’ নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে পেশায় টোটো চালক মইদুলের।