Fire Crackers Seized: ৩ দিনে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় বাজেয়াপ্ত ১ লাখ ২৮ হাজার কেজির বাজি!

Souvik Sarkar | Edited By: Soumya Saha

May 24, 2023 | 5:50 PM

Budge Budge: ইতিমধ্যেই মোট ৩৪টি মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ এবং বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বেআইনি বাজি মজুত বন্ধ করার অভিযানে।

Fire Crackers Seized: ৩ দিনে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় বাজেয়াপ্ত ১ লাখ ২৮ হাজার কেজির বাজি!
প্রচুর পরিমাণে বাজি বাজেয়াপ্ত

Follow Us

বজবজ: রাজ্যের একের পর এক বাজি বিস্ফোরণের (Fire Crackers Blast) ঘটনায় শোরগোল গোটা রাজ্যে। এগরা ও বজবজের অঘটনের পর রাজ্যজুড়ে সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। বেআইনি বাজি মজুত বন্ধ করতে জেলায় জেলায় চলছে পুলিশি অভিযান, ধরপাকড়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি বাজি ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। বজবজে বিস্ফোরণের ঘটনার পর গত তিন দিনে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার কেজির বাজি। বজবজের ওই অঘটনের পরপরই ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অন্তর্গত বজবজ, মহেশতলা, নোদাখালি সহ বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেই অভিযান থেকেই বাজেয়াপ্ত এই বিপুল পরিমাণ বেআইনিভাবে মজুত করা বাজি। ইতিমধ্যেই মোট ৩৪টি মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ এবং বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বেআইনি বাজি মজুত বন্ধ করার অভিযানে।

উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর থেকেই পুলিশের নজরদারি রাজ্যজুড়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়ে গিয়েছিল। সব জেলাগুলির পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারেটগুলির কমিশনারদের মৌখিক নির্দেশিকায় সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। কোথাও কোনও বেআইনি বাজি মজুত রয়েছে কি না, তা দেখার জন্য প্রতিটি থানা এলাকায় আরও নজরদারি বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু, সেই নজরদারি ও পুলিশি অভিযানের মধ্যেই বজবজে আবারও সেই একই ধরনের ঘটনা ঘটে যায়। পর পর এমন অঘটনে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। আরও একদফা মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয় চরম নজরদারির জন্য।

এদিকে বজবজের ওই অঘটনের পর থেকেই বজবজ ও আশপাশের থানাগুলিতে পুলিশের অভিযান ও নজরদারি আরও বাড়ানো হয়। শুরু হয়ে ধরপাকড়। সেই নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের দৃশ্যও ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। পুলিশের অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন একাংশের মানুষজন। তাঁদের বক্তব্য, যাদের বাজি ব্যবসার সঙ্গে কোনও যোগ নেই, তাদেরও পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

Next Article