Child Death: সারা শরীরে ক্ষত, রক্তে ভাসছিল গোটা ঘর, ৪ বছরের শিশুকন্যার মৃত্যুতে গ্রেফতার দাদু

Crime News: স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আচমকা বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে তাঁরা দৌড়ে যান। ঘরে ঢুকতেই দেখেন রক্তে ভেজা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে ওই শিশু। শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Child Death: সারা শরীরে ক্ষত, রক্তে ভাসছিল গোটা ঘর, ৪ বছরের শিশুকন্যার মৃত্যুতে গ্রেফতার দাদু
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Getty Image

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Oct 20, 2025 | 3:37 PM

সোনারপুর: কালীপুজোর সকালে মর্মান্তিক ঘটনা। চার বছরের শিশুকন্যার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। কীভাবে শিশুর মৃত্যু হল, তা নিয়ে রহস্য ঘনিয়েছে। পুলিশ শিশুর পরিচারিকা ও দাদু-দিদাকে আটক করা হয়। পরে দাদুকে গ্রেফতার করা হয় নাতনিকে খুনের অভিযোগে। গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

রবিবার, ১৯ অক্টোবর সোনারপুর থানার অধীনে কোদালিয়ার কদমতলা এলাকা থেকে চার বছরের এক শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। হঠাৎ চিৎকার শুনে সকলে ছুটে যান, গিয়ে দেখেন শিশুটি মাটিতে পড়ে রয়েছে, সারা ঘর রক্তে ভাসছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কীভাবে শিশুর মৃত্যু হল, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আচমকা বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে তাঁরা দৌড়ে যান। ঘরে ঢুকতেই দেখেন রক্তে ভেজা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে শিশু। শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এক প্রতিবেশী বলেন, “ওঁর দিদিমা হঠাৎ চিৎকার করে। আমরা সেই চিৎকার শুনে ছুটে যাই। দেখি ওঁর সারা গায়ে খোবলানো ক্ষত। দেখে তো মনে হচ্ছে ধারাল কিছু দিয়ে খোঁচানো হয়েছে।”

জানা গিয়েছে, শিশুর মা কলকাতার এক নামী বৈদ্যুতিক বিপণিতে কর্মরত। বাবা একটি বেসরকারি হাসপাতালের স্টাফ। প্রতিদিনের মতো রবিবারও তাঁরা কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন দাদু, দিদা এবং শিশুটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা এক মহিলা পরিচারিকা। তাঁদের সামনেই এমন ঘটনা ঘটল কীভাবে? তা নিয়েই তৈরি হয়েছে রহস্য। মৃতদেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়ায় খুনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। দাদু-দিদা ও পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

আজ, সোমবার ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই বাড়িটি সিল করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিরীহ এক শিশুর এমন করুণ পরিণতিতে শোকস্তব্ধ এলাকা। সকলের একটাই প্রশ্ন — এই নিষ্ঠুরতার নেপথ্যে কে?