
মহেশতলা: হাতে আর কয়েকদিন। তারপরই পুজো শুরু। তবে তার আগেই পুরসভা ও পুজো কমিটির জমি বিবাদের জেরে বন্ধ হওয়ার জোগাড় দুর্গাপুজো। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা মহেশতলা পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কল্যাণ সমিতির। এবার তাদের পুজো ৭২ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ ডিপার্টমেন্টের জমিতে ৭২ বছর ধরে পুজো হয়। কিন্তু মহেশতলা পুরসভা দাবি করছে, উদ্বাস্তু বিভাগ তাদের এই জমি দিয়ে দিয়েছে। সেই কারণে এই জমিতে একটি কমিউনিটি হল তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে এই জমিজট পৌঁছে গিয়েছে কোর্টে। একক বেঞ্চ জানিয়েছে যতক্ষণ না পর্যন্ত নির্ধারণ হচ্ছে জায়গাটি কার, ততদিন পর্যন্ত পুজো যেখানে হয়ে আসছে সেখানেই হবে।
আদালতের নির্দেশে এরপর পুজো উদ্যোক্তারা এগিয়ে গিয়েছিলেন। অর্ধেক মণ্ডপ তৈরি হয়েও গিয়েছিল। তবে পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, মহেশতলা পৌরসভার চেয়ারম্যানের গাজোয়ারিতে তালা পড়েছে মাঠের দু’টি গেটে। বন্ধ মণ্ডপ। উদ্বেগে পুজো উদ্যোক্তারা। বুঝে উঠতে পারছে না পুজো আদৌ হবে কি না।
বিধায়ক তথা পৌরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস বলেন, “এই জায়গাটি আর.আর ডিপার্টমেন্টের। তারা পৌরসভাকে দায়িত্ব দিয়েছে। পৌরসভা এখানে চাইছে কমিউনিটি হল তৈরি করতে। কিন্তু পুজো উদ্যোক্তারা বাধা দিচ্ছে।” পুজো আদৌ এখানে হবে কি না, সেই বিষয়ে তিনি বলেন, “পুজো কোথায় হবে তা বলতে পারব না।”
বস্তুত, এই পুজো প্রায় ৭২ বছরের। আট থেকে আশি সকলে মিলেমিশে এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। ফলে, পুজো মণ্ডপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে হতচকিত হয়ে পড়েছেন সকলে। পুজো উদ্যোক্তা শিবপ্রসাদ দাস বলেন, “এটা ৭২ বছরের পুজো। অথচ পুরসভা পুজো করতে দিচ্ছে না। এখানে ওরা কমিউনিটি হল করতে চায়। এই নিয়ে কেস চলছে। এই নিয়ে মামলাও হয়েছে। গত ৮ তারিখ চেয়ারম্যান গেটে তালা দিয়ে গেছে। এখন বলছে পরবর্তী কোর্টের শুনানি অবধি অপেক্ষা করতে।”