নোদাখালি: বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতেন সুরজিৎ মণ্ডল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি থানায় কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো গতকালও ডিউটিতে গিয়েছিলেন। দুপুর ২টোয় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরা আর হল না। ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার পথেই দুর্ঘটনা। বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বছর উনত্রিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সুরজিৎ মণ্ডলের। রাতে ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার পথে বাইকে তাঁর বন্ধু ধ্রুব ঢালিও ছিলেন। পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনিও। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ধ্রুব ঢালি ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। কীভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, বড় কোনও গাড়ি ধাক্কা মেরেছিল বাইকে। তাতেই মৃত্যু হয়েছে সুরজিতের।
বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছে সুরজিতের। বাড়িতে তিন বছরের ছোট্ট এক সন্তানও রয়েছে। এরই মধ্যে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রাতে যখন প্রথম বাড়িতে দুর্ঘটনার খবর যায়, তখন মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে পরিবারের লোকজনের। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের এক বন্ধুই বাড়িতে ফোন করে দুর্ঘটনার খবর জানান। পরিবারকে বলা হয়, মুচিশা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সুরজিৎকে। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে পৌঁছে যাওয়ার জন্য বলা হয়। দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই হাসপাতালে ছুটে যান সুরজিতের স্ত্রী দীপশিখা মণ্ডল।
কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা কেউ দেখতে পাননি সুরজিৎকে। ততক্ষণে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁর বন্ধু ধ্রুব ঢালিকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সুরজিতের। বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পৌঁছলে, চিকিৎসকরা সুরজিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বন্ধু এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে।
এদিকে সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ডিউটি থেকে ফেরার পথে এভাবে মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকস্তব্ধ পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বজবজ ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও। শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।