South 24 Parganas: নোদাখালিতে মহিলাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন? সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Woman allegedly tortured and killed: মৃতার মেয়ে বলেন, "আমার মা ও আমি জরির কাজ করি। আমার মাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছে। আমার ভাইকে গতকাল বাইকে করে ঘুরিয়েছে। যে এমন করেছে, সেই আবার সবাইকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছে কোথায় মা পড়ে রয়েছে। ওরা কেন এরকম করল?"

South 24 Parganas: নোদাখালিতে মহিলাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন? সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
কী অভিযোগ করল মৃতার পরিবার?Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Dec 07, 2025 | 6:07 PM

নোদাখালি: নোদাখালিতে মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে বিস্ফোরক অভিযোগ। সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। যে বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়, ওই বাড়িতেই মহিলাকে ডেকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তি ও এক নাবালককে। ধৃত ব্যক্তি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। এই নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে আসরে নেমেছে তৃণমূল।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি থানা এলাকায় গতকাল রাতে মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। যে বাড়ির পাশের জঙ্গলে মহিলার দেহ পাওয়া যায়, ওই বাড়িটি ধৃত নাবালকের পরিবারের। তার বাবা-মা গতকাল বাড়িতে ছিলেন না। মৃতার পরিবারের দাবি, ওই নাবালক মহিলাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। সেই বাড়িতেই ছিলেন ধৃত ব্যক্তিও। অভিযোগ, ওই বাড়িতে মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় এবং তার উপর নির্মম অত্যাচার করা হয়। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় রক্তের ফোঁটা পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, খুনের পর মহিলাকে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলের মধ্যে। সেখানেই একটি গর্তের মধ্যে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়। ধৃত ২ জন ছাড়াও এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। নোদাখালি থানার পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে FIR দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়নি এফআইআর-এ। পুলিশের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে ধর্ষণ হয়েছে কি না। তখন ধারা যোগ করা হবে।

কী বলছেন মৃতার মেয়ে?

মৃতার মেয়ে বলেন, “আমার মা ও আমি জরির কাজ করি। আমার মাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছে। আমার ভাইকে গতকাল বাইকে করে ঘুরিয়েছে। যে এমন করেছে, সেই আবার সবাইকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছে কোথায় মা পড়ে রয়েছে। ওরা কেন এরকম করল?” বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

কী বলছে তৃণমূল ও বিজেপি?

ধৃত ব্যক্তি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। এই নিয়ে তোপ দেগে যুব তৃণমূলের বজবজ ২ এর ব্লক সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যিনি একাজ করেছেন, তিনি বিজেপির সক্রিয় কর্মী। বিজেপি নামক যে সংক্রামক রোগ, চারিদিকে এরকম বাজে কীর্তি করে বেড়াচ্ছে। এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তাই, এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”

পাল্টা তৃণমূলকে নিশানা করে স্থানীয় বিজেপি নেতা সুফল ঘাটু বলেন, “মহিলা খুনের ঘটনায় কোনও এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছেন। তৃণমূল নিজেদের অপরাধ ঢাকতে যেভাবে সারা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে দোষারোপ করার চেষ্টা করে, সেরকমই করছে। ওই নামে ওখানে বিজেপির কোনও কর্মী আছে বলে আমার জানা নেই। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। দোষী শাস্তি পাক। তা সে যে দলেরই হোক। বিজেপি কখনও ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে মদত দেয় না। এটা তৃণমূলের পরম্পরা।”