নরেন্দ্রপুর: টলিউড অভিনেত্রীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার ঢালুয়ায়৷ নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ হামলার জেরে আতঙ্কে অভিনেত্রীর পরিবার ৷ এই ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা ৷ সূত্রের খবর, অভিনেত্রী সুচরিতা বিশ্বাসের সঙ্গে ২০১১ সালে বিয়ে হয় নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার শ্রীনগরের বাসিন্দা পিনাকী মজুমদারের৷ ২০১৫ সালে তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদও হয়ে যায়৷ অভিযোগ, এরইমধ্যে চলতি মাসের ১০ তারিখ আচমকা কয়েকজনকে নিয়ে এসে সুচরিতার বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে পিনাকীর বিরুদ্ধে৷ পরেরদিন অর্থাৎ ১১ তারিখেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের৷
জোর করে বাড়ির দরজা ভাঙা হয় বলেও অভিযোগ৷ এদিকে অভিনেত্রী সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না ৷ বাড়িতে ছিলেন তাঁর মা কল্পনা বিশ্বাস। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ৷ ছিনতাই করা হয় তাঁর গয়না। মারধর করা হয় অভিনেত্রীর বাবা নিমাই চন্দ্র বিশ্বাসকেও। চাওয়া হয় ২ লক্ষ টাকা। জোর করে একটি চেকে ২ লক্ষ টাকা লিখিয়েও নেওয়া হয় বলে অভিযোগ নিমাইবাবুর। এই ঘটনায় ১১ তারিখ রাতে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানিয়েছেন অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ৷
যদিও এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী সুচরিতা বিশ্বাস বলেন, “একটা কাজে আমি দক্ষিণ ভারতে গিয়েছিলাম। সেখানেই আমার মা ফোন করে জানায় আমাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। হামলা করেছে আমার প্রাক্তন স্বামী পিনাকী মজুমদার। বাড়িতে এসে আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। কাচের বোতল ভেঙে আমার মাকে মারা হয়। আমার বাবাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়, আমাকে অ্যাসিড দিয়ে আক্রমণ করবে বলেও শাসানো হয়। আমার ভাইকেও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। জোর করে ২ লক্ষ টাকার চেক নিয়ে যায়। এ ঘটনার শোনার পরেই আমি বাড়ি ফিরে আসি। এদিকে ওর সঙ্গে ডিভোর্সের পর আমার কোনও যোগাযোগই থিল না। কেন ও এরকম করেছে আমি জানি না। আমাদের বাড়ি ছাড়া করারও হুমকি দিয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। ওর কড়া শাস্তি চাইছি।”