Bhangar: চক্রান্ত করে CCTV ভেঙেই হামলা, রাস্তায় পড়ে জ্বলে যাওয়া পুলিশের প্রিজন ভ্যান, ভাঙা বাইক, আধলা ইট! ভাঙড়ে চরম তাণ্ডবের নেপথ্যে কারা?

Bhangar: ভাঙড়েও কলকাতা পুলিশের সিসিটিভি ভেঙে তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ। যাতে কোনওভাবেই চিহ্নিত করা না যায়, সেকারণেই টার্গেট সিসিটিভি। ভাঙড় ডিভিশন কলকাতা পুলিশের আওতায় যাওয়ার পরই গোটা এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল।

Bhangar: চক্রান্ত করে CCTV ভেঙেই হামলা, রাস্তায় পড়ে জ্বলে যাওয়া পুলিশের প্রিজন ভ্যান, ভাঙা বাইক, আধলা ইট! ভাঙড়ে চরম তাণ্ডবের নেপথ্যে কারা?
ভাঙড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে তাণ্ডবImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 14, 2025 | 6:09 PM

ভাঙড়: সুতি, ধূলিয়ান, ব্যাক টু ব্যাক ভাঙড়। ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে একই ছকে ভাঙড়ে চলল তাণ্ডব। ভাঙড়েও কলকাতা পুলিশের সিসিটিভি ভেঙে তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ। যাতে কোনওভাবেই চিহ্নিত করা না যায়, সেকারণেই টার্গেট সিসিটিভি। ভাঙড় ডিভিশন কলকাতা পুলিশের আওতায় যাওয়ার পরই গোটা এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। ভাঙড়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হল সোনপুর বাজার। রাস্তার ওপরে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল।

দু’ধরনের সিসিটিভি লাগানো ছিল। একটা কোনও নন মুভেবল। আরেকটি ডোম সিসিটিভি ক্যামেরা, যার মুখ ঘুরিয়ে ওপরের দিকে করে দেওয়া হয়েছে। তারপরই এলাকায় চলে তাণ্ডব।

সকাল থেকেই ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে  ভাঙড়ের পরিস্থিতি। আইএসেফের তরফ থেকে মিছিল বার করা হয়। তবে একটি মিছিল আটকে দেওয়া হয়। তার জন্য পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অপর আরেকটি  টিম নিয়ে মিছিল করেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এই নিয়ে উত্তেজনা ছিলই। কিন্তু মোতায়েন ছিল বিশাল বাহিনী। দুপুরের পর হঠাৎ করেই ভাঙড়ের সোনপুর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের গাড়িতে চলে বেপরোয়া ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর চলে বাইকেও। পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া পুলিশের গাড়ির কঙ্কাল পড়ে থাকে রাস্তার ওপরে। পরে দেখা যায়, ওই এলাকার সমস্ত ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখনও রাস্তার ওপর পড়ে রয়েছে গুচ্ছ গুচ্ছ আধলা ইট। এই মুহূর্তে পুলিশের বড় ফোর্স এলাকায় মোতায়েন। হামলায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ পুলিশ কর্মীও।

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “আমরা বারেবারে বলেছি আইএসএফ মানে সমাজ বিরোধী। আইএসএফ-এর নেতা মদতে যেভাবে পুলিশের গাড়িতে যেভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে, তাতে সংখ্যালঘু হিসাবে আমার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।”  নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “পুলিশ যদি বলে এরা আইএসএফ-এর লোক তাহলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। পুলিশ যখন লাঠিপেটা করেছে সেই সময় তৃণমূলের লোকজন ঢুকে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমি বলছি ভিডিয়ো ফুটেজ দেখুন কারা কারা হিংসার সঙ্গে যুক্ত তাদের গ্রেফতার করুন। আইএসএফ সেজে কেউ এই কাজ করছে।”