ভাঙড়: ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত আইএসএফ কর্মীদের গ্রেফতার করা না হলে থানা ঘেরাও করার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, “যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে না হলে আগামীদিনে থানা ঘেরাও করা হবে।” বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের গানেরআইট এলাকা থেকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এই ঘটনায় ১৩ জন আইএসএফ কর্মীর নামে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি এখনও। ভাঙড়ের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার প্রতিবাদে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার নেতৃত্বে সেই গানেরআইটে একটি ধিক্কার মিছিল ও সভা করে তৃণমূল।
এদিকে, আবার ভাঙড়ে বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে এজেন্সিকে চিঠি দিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। ভাঙড়ে তৃণমূল নেতার বাড়িতে মঙ্গলবার বিস্ফোরণের পরে আজও থমথমে এলাকা। মঙ্গলবার বিকালে আচমকাই বোমা বিস্ফোরণ হয় কাশীপুর থানার চালতাবেড়িয়া অঞ্চলে একটি বাড়িতে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে বাড়ির দেওয়াল ফেটে যায়।
রোশনা বিবি নামে এক মহিলা আহত হন। শরীরের ৭০ শতাংশ ঝলসে যায় তাঁর। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি তৃণমূল নেতা সরিফুল মোল্লার। বোমা মজুত রাখা ছিল বলেই অভিযোগ আইএসএফের। স্থানীয় আইএসএফ নেতাদের দাবি, সেই বোমা ফেটেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ বোমা মেরেছে আইএসএফ। স্থানীয় এক মহিলা জানান, বাড়ির সামনে বসেছিলেন রোশনা। সেইসময় বিস্ফোরণ ঘটে যাওয়ায় আহত হন ওই মহিলা।
ঘটনার আইএসএফের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই বলা হচ্ছিল, বাড়িতে বোমা মজুত করা ছিল। সেই বোমা ফেটেই বিস্ফোরণ। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে,রোশনা বিবির ওপর আইএসএফ দল বদলানোর জন্য চাপ তৈরি করছিল। রোশনা বিবি তৃণমূল ছেড়ে যেতে রাজি হননি। তার জেরেই বিস্ফোরণ। বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে তৃণমূল-আইএসএফ চাপানউতোর জারি। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। কেন এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা গেল না, তাতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।